চীনের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য উত্তেজনা কমাতে বেইজিং বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে সুদের হার কমানো, ব্যাংক রিজার্ভের প্রয়োজনীয়তা হ্রাস করা এবং বিভিন্ন খাতে অর্থ সরবরাহ বাড়ানো।
খবর অনুযায়ী, উভয় দেশই তাদের মধ্যে চলমান শুল্ক বিরোধ নিয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতির কারণে চীনের অর্থনীতিতে যে চাপ সৃষ্টি হয়েছে, তা মোকাবিলায় এই পদক্ষেপগুলো নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনার জন্য সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
এই আলোচনায় মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার এবং চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী লিফেং-এর অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে শুল্কের প্রভাব ইতোমধ্যে পড়তে শুরু করেছে।
চীন মার্কিন পণ্য আমদানির উপর সর্বোচ্চ ১২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রও চীনা পণ্যের উপর অতিরিক্ত শুল্ক বসিয়েছে, যা দুই দেশের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক, পিপলস ব্যাংক অব চায়না (পিবিওসি)-এর গভর্নর পান গংসহ সংবাদ সংস্থা এপিকে জানিয়েছেন, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আমানতের হার (রিভার্স রেপো রেট) ১.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১.৪ শতাংশ করা হয়েছে।
এছাড়াও, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ঋণ প্রদানের হার ০.২৫ শতাংশ কমিয়ে ১.৫ শতাংশ করা হয়েছে।
এছাড়াও, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ঋণ প্রদানের হার ০.২৫ শতাংশ কমিয়ে ১.৫ শতাংশ করা হয়েছে।
এর ফলে প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ইউয়ান (প্রায় ১৫.১ ট্রিলিয়ন বাংলাদেশি টাকা)-এর বেশি অর্থ বাজারে আসবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনের এই পদক্ষেপগুলি দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে সহায়ক হবে।
তবে, বাণিজ্য আলোচনার ফলাফল কি হয়, সেদিকে এখন সবার নজর।
বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে যে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে, তা বাংলাদেশের অর্থনীতিকেও প্রভাবিত করতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ, চীনের অর্থনীতির উত্থান-পতন বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প এবং অন্যান্য রপ্তানি খাতে প্রভাব ফেলতে পারে।
বাণিজ্য বিশ্লেষকদের মতে, বাণিজ্য আলোচনার ফলস্বরূপ তাৎক্ষণিক কোনো বড় পরিবর্তন নাও আসতে পারে।
তবে, কিছু পণ্যের উপর শুল্ক হ্রাস বা ছাড় আসতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের বিশ্ব বাজারের গতিবিধির দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যেকার বাণিজ্য সম্পর্ক পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যে প্রভাব পড়বে, সে সম্পর্কে ধারণা রাখা প্রয়োজন।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস