যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধ নতুন মোড় নিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর নতুন করে ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার ঘোষণা দেওয়ার পরেই পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে চীনও একই পরিমাণ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চীনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ১০ই এপ্রিল থেকে এই নতুন শুল্ক কার্যকর হবে।
চীনের বাণিজ্য শুল্ক কমিশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নীতির পরিপন্থী হিসেবে মনে করে। তাদের মতে, এটি চীনের ন্যায্য অধিকার ও স্বার্থের গুরুতর লঙ্ঘন।
একে তারা ‘একতরফা খবরদারি’ বলেও উল্লেখ করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বুধবার ঘোষণা করেন যে চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা সকল পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।
এই পদক্ষেপের ফলে বিশ্বের বৃহত্তম দুটি অর্থনীতির মধ্যে সম্পর্ক আরও খারাপ হওয়ার এবং বাণিজ্য যুদ্ধ আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বাণিজ্য বিশ্লেষকদের মতে, এর ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে এবং বিভিন্ন দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যেও এর প্রভাব পড়তে পারে।
এই পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদরা বলছেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার এই বাণিজ্য যুদ্ধের সরাসরি প্রভাব বাংলাদেশের ওপর হয়তো এখনই পড়বে না, তবে বিশ্ব বাজারের গতিবিধির ওপর আমাদের নজর রাখতে হবে।
কারণ, বিশ্ব অর্থনীতির যে কোনও পরিবর্তন আমাদের বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে, তৈরি পোশাক শিল্পের কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে এর কিছু প্রভাব পড়তে পারে।
বর্তমানে, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যেকার এই বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। উভয় দেশই তাদের বাণিজ্য নীতিতে পরিবর্তন আনছে, যা বিশ্ব অর্থনীতির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসলে, বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিতে এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়তে পারে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন