চীনের স্কুলে গাড়ির তাণ্ডব! আহত শিশুসহ বহু মানুষ!

চীনের পূর্বাঞ্চলে একটি স্কুলের বাইরে ভিড়ের মধ্যে একটি গাড়ি ঢুকে পড়ায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে, যাদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার, ঝেজিয়াং প্রদেশের জিনহুয়া শহরে এই ঘটনাটি ঘটে।

ঘটনার সময় স্কুল ছুটির পর শিক্ষার্থীরা বাড়ি ফিরছিল। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, সুমেং টাউনশিপ সেন্ট্রাল কিন্ডারগার্টেন এবং কাছাকাছি একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, অন্তত পাঁচজন মাটিতে পড়ে আছে। তাদের মধ্যে তিনজন শিক্ষার্থীও ছিল। ঘটনার পর আহতদের সাহায্য করার জন্য অনেকে এগিয়ে আসে।

এখনও পর্যন্ত হতাহতের সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি। এটি দুর্ঘটনা নাকি ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটানো হয়েছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনে জনসাধারণের উপর এমন সহিংসতার ঘটনা বেড়েছে।

অর্থনৈতিক মন্দা এবং জনগণের মধ্যে অস্থিরতা বাড়ার কারণে এমনটা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চীনের একটি ট্রাফিক রেডিও প্রোগ্রাম, ‘ভয়েস অফ ট্রাফিক’-এর প্রকাশিত একটি ভিডিওতে এক প্রত্যক্ষদর্শী নারী জানান, গাড়িটি “নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে” “অনেক মানুষের ওপর দিয়ে” চলে যায়।

তিনি আরও বলেন, “লোকজন গাড়ির চালকের জানালা ধাক্কাচ্ছিল।” এই ঘটনার পর, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং হাসপাতালগুলো কোনো তথ্য দিতে রাজি হয়নি।

সাধারণত, চীনে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে কর্তৃপক্ষ তথ্য গোপন করে থাকে। ঘটনার পর সরকার বা রাষ্ট্রীয় কোনো গণমাধ্যম এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। এমনকি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওগুলোও সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

অনেক অনলাইন ব্যবহারকারী একে অপরের প্রতি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। তাদের মতে, চীনের অর্থনৈতিক দুরবস্থার কারণে মানুষ “বেপরোয়া ও অস্থির” হয়ে উঠছে এবং সমাজের উপর প্রতিশোধ নিচ্ছে।

সম্প্রতি, দেশটিতে জনসাধারণের উপর সহিংসতার কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। নভেম্বরে, একটি লোক তার গাড়ি দিয়ে একটি ক্রীড়া কেন্দ্রের বাইরে ব্যায়াম করা মানুষের ওপর উঠিয়ে দেয়, যাতে ৩৫ জন নিহত হয়।

এছাড়া, একই মাসে একটি স্কুলের বাইরেও গাড়ি উঠিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে, যাতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়। গত অক্টোবরে বেইজিংয়ে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় তিনজন শিশুসহ পাঁচজন আহত হয়েছিল।

নভেম্বরে পূর্বাঞ্চলে একটি কলেজে ব্যাপক ছুরিকাঘাতে আটজন নিহত এবং আরও ১৭ জন আহত হয়। তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *