সাঁতারে চীনের উদ্বেগের কারণ! ডোপ টেস্টে সবার চেয়ে এগিয়ে!

বিশ্ব সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপের আগে চীনা সাঁতারুদের উপর ডোপিং পরীক্ষা বাড়ানো হয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব অ্যাকোয়াটিকস চ্যাম্পিয়নশিপের (World Aquatics Championships) আগে অন্যান্য দেশের সাঁতারুদের তুলনায় চীনা সাঁতারুদের অ্যান্টি-ডোপিং পরীক্ষা বেশি করা হয়েছে।

অ্যাকোয়াটিকস ইন্টিগ্রিটি ইউনিট (Aquatics Integrity Unit)-এর তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১লা জানুয়ারি থেকে চীনা সাঁতারুদের গড়ে ৮.৮ বার মাদক পরীক্ষা (anti-doping tests) করা হয়েছে। যেখানে একই সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাঁতারুদের ৪.১ বার এবং যুক্তরাজ্যের সাঁতারুদের ২.২ বার এই পরীক্ষা দিতে হয়েছে। এছাড়াও, নিরপেক্ষ প্রতিযোগী – মূলত রুশ নাগরিক – দের গড়ে ৮.২ বার ডোপিং পরীক্ষা করা হয়েছে।

আসন্ন এই চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেওয়া ক্রীড়াবিদদের উপর মোট ৪,০১৮টি ডোপিং পরীক্ষা করা হবে, যা ১১ই জুলাই থেকে শুরু হয়ে ২২শে জুলাই পর্যন্ত চলবে। অ্যাকোয়াটিকস ইন্টিগ্রিটি ইউনিট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিশ্ব অ্যাকোয়াটিকস ফেয়ার প্লে এবং খেলাধুলায় সর্বোচ্চ সততা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, চীনের পুরুষ ফ্রিস্টাইল স্প্রিন্টার ওয়াং হাওয়ু-কে ১৩ বার এবং ২০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকের বিশ্ব রেকর্ডধারী কিন হাইয়াং-কে ১২ বার ডোপিং পরীক্ষার আওতায় আনা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০২১ সালে চীনের ২৩ জন সাঁতারুর শরীরে নিষিদ্ধ হৃদরোগের ওষুধ ‘ট্রাইমেটাজাইডিন’-এর উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছিল। তবে, হোটেল কক্ষের খাবার থেকে দূষণের কারণে এমনটা হয়েছে বলে চীনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। পরবর্তীতে বিশ্ব অ্যান্টি-ডোপিং সংস্থা (World Anti-Doping Agency) চীনের তদন্তের ফলাফল গ্রহণ করে।

প্রতিযোগিতা চলাকালীন সময়েও এই পরীক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। যেখানে প্রায় ৮৩০টি নমুনা সংগ্রহ করা হবে।

তথ্য সূত্র: CNN

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *