চীনের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চারটি ‘লাল রেখা’ (kritikal lines) চিহ্নিত করেছে চীন। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বৈঠকের পর এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।
চীনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাইওয়ান, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার, রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং উন্নয়নের অধিকার – এই বিষয়গুলো তাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সোমবার চীনের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত শি ফেং এক ভার্চুয়াল ভাষণে এই কথা জানান। তিনি জানান, চীন চায় যুক্তরাষ্ট্র যেন এই বিষয়গুলোতে হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকে এবং কোনো সমস্যা তৈরি না করে।
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যেকার সম্পর্ক বর্তমানে বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি পর্যায়ে রয়েছে। তাইওয়ানকে চীন নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে মনে করে।
তাইওয়ানের স্বায়ত্তশাসনের বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চীন অসন্তুষ্ট। মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর বিধিনিষেধের কারণেও বেইজিংয়ের ওপর পশ্চিমা দেশগুলোর চাপ রয়েছে।
শি ফেংয়ের এই মন্তব্যের কয়েক দিন আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ট্রাম্প ও শি জিনপিংয়ের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। বিশ্লেষকদের মতে, দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে এই আলোচনা ফলপ্রসূ হতে পারে।
বৈঠকে বাণিজ্য ও প্রযুক্তিগত বিষয়গুলো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল। তবে তাইওয়ান ইস্যু নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানা গেছে।
বৈঠকে কোনো বাণিজ্য চুক্তি না হলেও, বিরল মৃত্তিকা খনিজ রপ্তানির ওপর চীনের নিয়ন্ত্রণ এক বছরের জন্য স্থগিত করতে রাজি হয়। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রও চীনের কিছু কোম্পানির ওপর প্রযুক্তিগত বিধিনিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে।
এছাড়াও, দুই দেশ শুল্ক কমানোর বিষয়েও ঐকমত্যে পৌঁছেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, বিশ্ব অর্থনীতির দুই প্রধান চালিকাশক্তির মধ্যেকার এই আলোচনা বিশ্ব বাণিজ্য এবং বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য ইতিবাচক।
এই দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় থাকলে তা বিশ্ব অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনবে, যা বাংলাদেশের বাণিজ্য ও উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্য সূত্র: সিএনএন