যুক্তরাজ্য ও চীনে দশ জন নারীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে অভিযুক্ত, চীনের নাগরিক ঝেনহাও ঝোকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
লন্ডনের একটি আদালতে ২৮ বছর বয়সী ঝোকে এই সাজা শোনানো হয়। আদালত জানায়, প্যারোলের জন্য যোগ্য হওয়ার আগে তাকে কমপক্ষে ২২ বছর এবং ২২৭ দিন কারাগারে কাটাতে হবে।
আদালতের নথি অনুযায়ী, ঝো-কে ধর্ষণ, মিথ্যা কারারুদ্ধ করা, গোপনে ছবি তোলার মতো গুরুতর অভিযোগের পাশাপাশি, যৌন অপরাধের উদ্দেশ্যে মাদকদ্রব্য সরবরাহ এবং চরম পর্নোগ্রাফিক ছবি রাখার মতো অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
বিচারক রোজিনা কোটেজ জানান, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো অত্যন্ত গুরুতর এবং নারীদের প্রতি তার আচরণ ছিল অত্যন্ত ঘৃণ্য।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঝো অনলাইনে ‘পাকহো’ নামে পরিচিত ছিল। তিনি উইচ্যাট এবং ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে চীনা বংশোদ্ভূত নারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন।
পরে তাদের লন্ডনের অ্যাপার্টমেন্টে অথবা চীনে ডেকে মাদকদ্রব্য মিশিয়ে অচেতন করে ধর্ষণ করতেন। শুধু তাই নয়, তিনি ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে গহনা ও পোশাকসহ মূল্যবান জিনিসপত্রও হাতিয়ে নিতেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ঝো কিছু আক্রমণের ভিডিও ধারণ করতেন।
তিনি ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের (University College London) একজন পিএইচডি শিক্ষার্থী ছিলেন। একজন ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আদালতে ভুক্তভোগী নারীদের সাহসিকতার প্রশংসা করে প্রসিকিউটররা বলেন, “ঝেনহাও ঝোর ঘৃণ্য অপরাধের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো নারীরা ছিলেন অত্যন্ত সাহসী এবং শক্তিশালী।
তাদের দেওয়া সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই ঝোর সাজা হয়েছে।” এই রায়ের মাধ্যমে নারীদের প্রতি হওয়া সহিংসতার বিরুদ্ধে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হলো, যা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।
তথ্য সূত্র: সিএনএন