যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় শিল্পী ক্রিস ব্রাউন লন্ডনের একটি নাইটক্লাবে মারামারির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। গত শুক্রবার লন্ডনের সাউথওয়ার্ক ক্রাউন কোর্টে তিনি হাজির হয়ে গুরুতর আঘাত হানার চেষ্টার অভিযোগের বিরুদ্ধে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
২০২৩ সালের ১৯শে ফেব্রুয়ারি লন্ডনের মেফেয়ার এলাকার ‘টেপ নাইটক্লাবে’ একটি ঘটনার সূত্রে এই অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী, ক্রিস ব্রাউন ইচ্ছাকৃতভাবে আব্রাহাম দিয়াও নামক এক ব্যক্তির গুরুতর আঘাত করার চেষ্টা করেছিলেন।
আদালতে বিচারকের সামনে তিনি তার নাম এবং জন্মতারিখ নিশ্চিত করে ‘আমি নির্দোষ’ বলেন। তার সঙ্গে অভিযুক্ত অপর ব্যক্তি ওমোলুলু আকিনলুও একই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
আদালতে জানানো হয়, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ব্রাউনের বিরুদ্ধে দিয়াওকে মারধর করারও অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়াও, তার বিরুদ্ধে একটি ধারালো অস্ত্র, অর্থাৎ একটি বোতল, সঙ্গে রাখারও অভিযোগ রয়েছে।
তবে, এই বিষয়গুলোর ওপর এখনই কোনো রায় দেওয়া হয়নি। আগামী ১১ই জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
আদালতের শুনানির সময় প্রায় ২০ জন দর্শক, যাদের অধিকাংশই এই আমেরিকান আরএন্ডবি শিল্পীর ভক্ত, তারা আদালতের পেছনের গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন। জানা গেছে, জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর, বর্তমানে আন্তর্জাতিক সফরে থাকা ক্রিস ব্রাউন বৃহস্পতিবার কার্ডিফে একটি কনসার্টে অংশ নিয়েছিলেন।
গত মাসে ম্যানচেস্টার ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে শুনানিতে জানানো হয়, টেপ নাইটক্লাবের বারে দাঁড়িয়ে থাকা দিয়াওকে বেশ কয়েকবার একটি বোতল দিয়ে আঘাত করা হয়। এরপর, ক্লাবের অন্য অংশে তাকে মারধর করা হয় এবং লাথি মারা হয়।
পুলিশ জানায়, চলতি বছরের ১৫ই মে তারিখে ম্যানচেস্টারের ‘দ্য লরি হোটেল’ থেকে ক্রিস ব্রাউনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে, ২১শে মে তারিখে তাকে গ্রেটার ম্যানচেস্টারের স্যালফোর্ডের এইচএমপি ফরেস্ট ব্যাংক থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, জামিনের শর্ত অনুযায়ী, ব্রাউনকে ৪ মিলিয়ন পাউন্ড (ব্রিটিশ মুদ্রা) জমা দিতে হয়েছে এবং আরও ১ মিলিয়ন পাউন্ড সাত দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। এই অর্থ মূলত আদালতে হাজিরা নিশ্চিত করার জন্য রাখা হয়েছে।
যদি তিনি কোনো শর্ত ভঙ্গ করেন, তাহলে এই অর্থ বাজেয়াপ্ত করা হবে।
আগামী অক্টোবরে পাঁচ থেকে সাত দিনের জন্য এই মামলার বিচারকার্য শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন