ম্যাডেলিন ম্যাকক্যান: নিঁখোজের রহস্য, প্রধান সন্দেহভাজন এখনো কারাগারে।
২০০৭ সালের ৩রা মে, পর্তুগালের প্রেইয়া দা লুজে ছুটি কাটাতে আসা ব্রিটিশ পরিবারটির চার বছর বয়সী মেয়ে ম্যাডেলিন ম্যাকক্যান হঠাৎ করেই নিখোঁজ হয়ে যায়। এই ঘটনা বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে।
ঘটনার কয়েক দিন আগে, মেয়ের বাবা-মা বন্ধুদের সাথে ডিনার করতে গিয়েছিলেন, আর শিশুটি তার ছোট যমজ ভাই-বোনের সাথে অ্যাপার্টমেন্টে ঘুমিয়ে ছিল। তারা মাঝে মাঝে ফিরে এসে বাচ্চাদের দেখাশোনা করতেন।
কিন্তু এক ফাঁকে, ম্যাডেলিনকে তার বিছানায় পাওয়া যায়নি। এরপর কেটে গেছে বহু বছর, কিন্তু তার কোনো সন্ধান মেলেনি।
এই ঘটনার তদন্তে জার্মান নাগরিক ক্রিশ্চিয়ান ব্রুকনারকে প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ব্রুকনার বর্তমানে অন্য একটি ধর্ষণ মামলায় সাজা ভোগ করছেন।
২০১৬ সাল থেকে তিনি পর্তুগালে থাকতেন এবং ম্যাডেলিন নিখোঁজের সময় ঐ এলাকাতেই ছিলেন। জার্মান কৌঁসুলিরা মনে করেন, ম্যাডেলিনের মৃত্যুর পেছনে ব্রুকনারের হাত থাকতে পারে।
যদিও এই বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
তদন্তকারীরা বলছেন, ব্রুকনারের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করার জন্য পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ এখনো পর্যন্ত তাদের হাতে নেই। ম্যাডেলিনের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনার সঙ্গে তার জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ব্রুকনার এর আগে শিশু নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিলেন। এমনকি ২০১৬ সালে পর্তুগাল থেকে তাকে জার্মানিতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
২০১৯ সালে ব্রুকনারকে ৭২ বছর বয়সী এক বৃদ্ধাকে ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সম্প্রতি, তিনি পর্তুগালে ২০০০ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে সংঘটিত হওয়া ধর্ষণ ও শিশুদের যৌন নির্যাতনের তিনটি অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিলেন।
তবে, প্রমাণাভাবে আদালত তাকে সে সব অভিযোগ থেকে মুক্তি দিয়েছে।
ম্যাডেলিন ম্যাকক্যানকে খুঁজে বের করার জন্য এখনো পর্যন্ত চেষ্টা চলছে। তার বাবা-মা তাদের মেয়ের ফিরে আসার অপেক্ষায় দিন গুনছেন।
তারা বিশ্বাস করেন, একদিন না একদিন তাদের মেয়ের সন্ধান মিলবেই।
তথ্যসূত্র: পিপল