ক্রিস্টি ব্রিংকলি: ভালোবাসায় আজও বিশ্বাস!

সুপার মডেল ক্রিস্টি ব্রিংকলি, যিনি তাঁর সৌন্দর্য এবং ফ্যাশন সচেতনতার জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত, সম্প্রতি তাঁর নতুন স্মৃতিচারণমূলক বই ‘আপটাউন গার্ল’-এর মাধ্যমে আলোচনায় এসেছেন। এই বইটিতে তিনি তাঁর জীবনের নানা দিক, বিশেষ করে চারটি বিবাহ এবং ভালোবাসার প্রতি তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন।

ব্র্যাংকলি, যিনি একসময় রুপালি পর্দার উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন, প্যারিসে শিল্পী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে এসেছিলেন। সেখানেই ফরাসি চিত্রকর জ্যাঁ-ফ্রাঁসোয়া অ্যালাউক্সের সঙ্গে তাঁর প্রথম প্রেম হয়। পরবর্তীতে তাঁরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন, কিন্তু তাঁদের পথ আলাদা হয়ে যায়।

এরপর তিনি প্রেমে পড়েন ফরাসি শ্যাম্পেন প্রস্তুতকারক অলিভার শ্যান্ডনের সঙ্গে, যিনি রেসিং কারের প্রতি ছিলেন প্রচণ্ড অনুরাগী। ১৯৮৩ সালে এক মর্মান্তিক গাড়ি দুর্ঘটনায় শ্যান্ডনের অকাল মৃত্যু হয়।

সঙ্গীতশিল্পী বিলি জোয়েলের সঙ্গে ব্রিংকলির দ্বিতীয় বিবাহ হয়। তাঁদের সম্পর্ক ছিল ভালোবাসাপূর্ণ ও হাসিখুশি। ব্রিংকলির ভাষায়, “আমরা হাসতাম যেন তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।”

কিন্তু তাঁদের এই সম্পর্ক বেশি দিন টেকেনি এবং ১৯৯৪ সালে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়।

একই বছর, ব্রিংকলি কলোরাডোতে হেলিস্কিং করার সময় এক ভয়াবহ হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় পতিত হন। এই দুর্ঘটনায় তাঁর তৃতীয় স্বামী রিকি ট্যুবম্যানও গুরুতর আহত হন। এই ঘটনার পর তিনি মানসিক আঘাতের শিকার হন এবং সেই সময় কিছু ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

১৯৯৫ সালে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়।

পরবর্তীকালে তিনি স্থপতি পিটার কুককে বিয়ে করেন, কিন্তু সেই সম্পর্কও শেষ হয় তিক্ততার মধ্য দিয়ে। কুকের বিরুদ্ধে এক কিশোরীর সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগ উঠলে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়।

ভালোবাসা সম্পর্কে ব্রিংকলির বর্তমান ধারণা বেশ গভীর। তিনি বলেন, “ভালোবাসা এমন একটি জিনিস যা উপভোগ করতে হয়, লালন করতে হয়, কিন্তু ধরে রাখা বা নিজের ইচ্ছামতো পরিবর্তন করা যায় না।” বর্তমানে একা জীবনযাপন করলেও তিনি ভালোবাসার প্রতি আস্থা হারাননি।

তিনি মনে করেন, জীবনে ভালো থাকার জন্য ভালোবাসার সঙ্গীর প্রয়োজন নেই। আত্ম-উপলব্ধি এবং নিজের প্রতি মনোযোগের মাধ্যমেই একজন মানুষ সুখী হতে পারে।

ক্রিস্টি ব্রিংকলির নতুন বই ‘আপটাউন গার্ল’ আগামী ২৯শে এপ্রিল প্রকাশিত হবে।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *