সিনসিনাটি, ওহাইও-তে পরপর দুটি মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হলো শহরটি। প্রথমে, পুলিশের গুলিতে নিহত হন ১৮ বছর বয়সী রায়ান হিন্টন। এরপর, নিহত তরুণের শোকাহত পিতার গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ হারান এক ডেপুটি শেরিফ।
এই ঘটনাগুলো নিয়ে শহরজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে, একইসঙ্গে উঠেছে নানা প্রশ্ন।
বৃহস্পতিবার, সিনসিনাটি পুলিশের গুলিতে নিহত হন রায়ান হিন্টন। পুলিশ জানায়, তারা একটি চুরি যাওয়া গাড়ির সন্ধান করতে গিয়ে হিন্টনকে দেখতে পায়।
পালানোর সময় হিন্টনের হাতে বন্দুক ছিল বলে দাবি করে পুলিশ। তবে, ঘটনার ভিডিও ফুটেজে বিষয়টি পরিষ্কারভাবে ধরা পড়েনি। ঘটনার তদন্ত চলছে।
পরের দিন, শুক্রবার, শোকের আবহেই ঘটে যায় আরেকটি হৃদয়বিদারক ঘটনা। ডিউটিতে থাকা এক ডেপুটি শেরিফকে ইচ্ছাকৃতভাবে গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যা করার অভিযোগ ওঠে নিহত তরুণের বাবা, ৩৮ বছর বয়সী রডনি হিন্টন জুনিয়রের বিরুদ্ধে।
পুলিশ জানিয়েছে, সিনসিনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করার সময় ওই ডেপুটি শেরিফকে হত্যা করা হয়।
শেরিফের মৃত্যুর ঘটনায় রডনি হিন্টন জুনিয়রের বিরুদ্ধে গুরুতর হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। শনিবার আদালতে হাজির করার পর তাকে জামিন ছাড়াই কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার তার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
এই ঘটনার পর নিহত ডেপুটি শেরিফের প্রতি সম্মান জানাতে শোক র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত ডেপুটি দীর্ঘদিন ধরে আইন প্রয়োগকারী সংস্থায় কাজ করেছেন এবং এলাকার মানুষের কাছে অত্যন্ত প্রিয় ছিলেন।
সিনসিনাটির পুলিশ প্রধান টেরেসা থিটগে উভয় ঘটনার স্বচ্ছ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জনগণকে শান্ত থাকার এবং তদন্তে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
নিহত রায়ান হিন্টনের পরিবারের আইনজীবী জানিয়েছেন, তারা ঘটনার বিস্তারিত জানতে চান এবং পুলিশের কাছ থেকে সঠিক তথ্য আশা করছেন। তিনি একে উভয় পক্ষের জন্যই এক “ভয়ঙ্কর ট্র্যাজেডি” হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
অন্যদিকে, ওহাইও-র গভর্নর মাইক ডিওয়াইন এই ঘটনাকে “হিংসাত্মক কাজ” হিসেবে নিন্দা করেছেন এবং নিহত ডেপুটি শেরিফের পরিবার ও সহকর্মীদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
শহরবাসী এখনো এই শোক কাটিয়ে উঠতে পারেনি, একইসাথে তারা ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের অপেক্ষায় রয়েছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন