অবশেষে অবসরে যাচ্ছেন ডজার্সের কিংবদন্তি কার্শ!

# বেসবলের কিংবদন্তি ক্লেটন কার্শর অবসরের ঘোষণা

যুক্তরাষ্ট্রের পেশাদার বেসবল খেলোয়াড় ক্লেটন কার্শর, যিনি লস অ্যাঞ্জেলেস ডজার্স দলের হয়ে খেলতেন, ২০২৫ সালের মৌসুম শেষে খেলোয়াড় জীবন থেকে অবসর নিচ্ছেন।

বেসবলের ইতিহাসে অন্যতম সেরা এই খেলোয়াড়কে বিদায় জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে তার দল।

কার্শর ১৮ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ার পুরোটাই ডজার্সের হয়ে কাটিয়েছেন।

এই সময়ে তিনি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ড গড়েছেন এবং দলের সাফল্যের জন্য অবদান রেখেছেন।

তিনি তিনবার ন্যাশনাল লিগ সাই ইয়ং অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন, যা একজন পিচারের জন্য অত্যন্ত সম্মানজনক।

এছাড়া, তিনি ডজার্সের হয়ে দুটি ওয়ার্ল্ড সিরিজও জয় করেছেন।

বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কার্শর তার এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

তিনি বলেন, “আমি সত্যিই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে শান্তিতে আছি।

আমার মনে কোনো দুঃখ নেই, বরং আমি কৃতজ্ঞ।”

খেলোয়াড় জীবনের এই পর্যায়ে এসে তিনি সুস্থ থাকতে পেরেছেন এবং মাঠে পারফর্ম করতে পেরেছেন, এটাই তার কাছে অনেক বড় পাওয়া।

বামহাতি এই পিচার বর্তমানে ২২2টি খেলায় জয়লাভ করেছেন।

আগামী শুক্রবার স্যান ফ্রান্সিসকো জায়ান্টসের বিপক্ষে ডজার্স স্টেডিয়ামে তিনি খেলার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন এবং প্লে-অফেও তার খেলার সম্ভাবনা রয়েছে।

ক্লেটন কার্শর শুধু একজন ভালো খেলোয়াড়ই ছিলেন না, বরং মাঠের বাইরের সমাজসেবামূলক কাজেও তার অবদান রয়েছে।

২০১২ সালে তিনি রবার্তো ক্লিমেন্তি অ্যাওয়ার্ড জেতেন, যা খেলাধুলায় সমাজের জন্য নিবেদিতপ্রাণ খেলোয়াড়দের দেওয়া হয়।

ডজার্সের মালিক মার্ক ওয়াল্টার এক বিবৃতিতে বলেন, “ক্লেটনের অসাধারণ ক্যারিয়ারের জন্য আমি তাকে অভিনন্দন জানাই এবং ডজার্স ও বেসবলপ্রেমীদের জন্য তার অবদানকে ধন্যবাদ জানাই।

তার এই কিংবদন্তিতুল্য ক্যারিয়ারের জন্য তিনি অবশ্যই বেসবল হল অফ ফেইমে জায়গা করে নেবেন।”

ক্লেটন কার্শর ১১ বারের অল-স্টার এবং ১৫টি ম্যাচে কোনো রান দেননি।

তার জয়ের হার ৬৯.৮ শতাংশ।

খেলোয়াড় জীবনের শুরুতে এক দলের হয়ে এত বছর খেলার সুযোগ পাওয়াটা অনেক বিশেষ কিছু, এমনটাই তিনি বিভিন্ন সময়ে উল্লেখ করেছেন।

জুলাই মাসে তিনি ইতিহাসের চতুর্থ বাঁহাতি এবং ২০তম খেলোয়াড় হিসেবে ৩,০০০ স্ট্রাইকআউটের মাইলফলক স্পর্শ করেন।

বর্তমানে তার স্ট্রাইকআউটের সংখ্যা ৩,০৩৯।

বেসবল খেলাটি বাংলাদেশে খুব পরিচিত না হলেও, খেলোয়াড়ের কঠোর পরিশ্রম, দলের প্রতি তার ডেডিকেশন এবং সমাজের জন্য তার অবদান নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য।

ক্রীড়াঙ্গনে এমন উজ্জ্বল নক্ষত্রের বিদায় সত্যিই কষ্টের, তবে তার ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য শুভকামনা।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *