ক্লিয়া শিয়ারার ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার কঠিন অভিজ্ঞতা, নতুন বইয়ে তুলে ধরছেন তিনি।
সুপরিচিত জীবনধারা বিষয়ক ব্র্যান্ড ‘দ্য হোম এডিট’-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ক্লিয়া শিয়ারার জীবনটা ২০২২ সালের মার্চ মাস থেকে অন্যরকম হয়ে যায়। স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর যেন সবকিছু ওলট-পালট হয়ে গিয়েছিল।
জনপ্রিয় এই উদ্যোক্তা এবার তাঁর সেই কঠিন দিনগুলোর কথা জানাচ্ছেন একটি নতুন বইয়ের মাধ্যমে। বইটির নাম ‘ক্যান্সার ইজ কমপ্লিকেটেড: অ্যান্ড আদার আনএক্সপেকটেড লেসনস আই’ভ লার্নড’।
আগামী ২৩শে সেপ্টেম্বর বইটি প্রকাশিত হবে।
২০২২ সালে ক্লিয়া শিয়ারার জীবনে অনেক কিছুই ভালো ঘটছিল। তাঁর ব্র্যান্ড ‘দ্য হোম এডিট’ জনপ্রিয়তার শীর্ষে ছিল।
হলিউডের সুপরিচিত অভিনেত্রী ও প্রযোজক রিস উইদারস্পুনের মিডিয়া কোম্পানি ‘হ্যালো সানশাইন’-এর সঙ্গে তাদের চুক্তি হয়। একই বছর, নেটফ্লিক্সের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘গেট অরগানাইজড’-এর দ্বিতীয় সিজনের কাজও শেষ হয়।
এছাড়াও, ক্লিয়া ৪০ বছরে পা রাখেন, যা তিনি বন্ধু এবং পরিবারের সঙ্গে উদযাপন করেন। কিন্তু ৮ই মার্চ তারিখে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার খবরটি তাঁর জীবনকে সম্পূর্ণ পাল্টে দেয়।
ক্লিয়া শিয়ারার নতুন বইটি একদিকে যেমন আত্মজীবনী, তেমনই ক্যান্সার আক্রান্তদের জন্য একটি গাইডলাইনও বটে।
বইটিতে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াইয়ের শুরু থেকে চিকিৎসা পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।
কিভাবে নিজের অধিকারের জন্য কথা বলতে হয়, প্রিয়জনদের কিভাবে এই দুঃসংবাদ জানাতে হয়, এবং মানসিক স্বাস্থ্যকে কিভাবে ভালো রাখতে হয়, সে সম্পর্কেও তিনি আলোচনা করেছেন।
বইটি মূলত ক্যান্সার আক্রান্ত ব্যক্তি এবং তাঁদের ভালোবাসার মানুষদের জন্য উৎসর্গীকৃত।
বইটির ভাষাগত সরলতা এবং আন্তরিকতা সবার মন জয় করবে বলে আশা করা যায়।
‘দ্য হোম এডিট’-এর সাফল্যের পাশাপাশি ক্লিয়া শিয়ারার লেখক হিসেবেও পরিচিত।
এর আগে তিনি ‘দ্য হোম এডিট’, ‘দ্য হোম এডিট লাইফ’ এবং ‘দ্য হোম এডিট: স্টে অরগানাইজড’ -এর মতো জনপ্রিয় বই লিখেছেন।
ক্লিয়া এবং তাঁর সহ-প্রতিষ্ঠাতা জোয়ানা টেপ্লিন ২০১৫ সাল থেকে মানুষের জীবনযাত্রাকে নতুনভাবে সাজাতে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন।
খুব শীঘ্রই তাঁরা এবিসি চ্যানেলের নতুন অনুষ্ঠান ‘এক্সট্রিম মেকওভার: হোম এডিশন’ -এর সঞ্চালনা করতে চলেছেন।
ক্লিয়া জানিয়েছেন, তিনি এমন একটি বই লিখতে চেয়েছিলেন যা ক্যান্সার আক্রান্তদের কঠিন সময়ে পথ দেখাতে পারে।
তাঁর ভাষায়, “আমি চেয়েছিলাম, ক্যান্সারের চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে আমার পাশে এমন একটি বই থাকুক।
তাই, এই বইটি লেখার মূল উদ্দেশ্য হলো, ক্যান্সার আক্রান্ত মানুষজন যেন একা এবং ভীত অনুভব না করেন, বরং এই কঠিন যাত্রাপথের জন্য প্রস্তুত হতে পারেন।”
তথ্য সূত্র: পিপল