ফ্লোরিডার ক্লিয়ারওয়াটারে ফেরি দুর্ঘটনায় একজন নিহত, পরিবার বিচার চাইছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার ক্লিয়ারওয়াটারে একটি ফেরি ও একটি বিনোদনমূলক নৌকার মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ১০ জন।
ঘটনার পর নৌকার চালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন কিনা, তা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় ক্লিয়ারওয়াটার শহরের কাছে একটি ব্রিজের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ফেরিটি ঐ দিন একটি বালু ও ভাস্কর্য প্রতিযোগিতা থেকে আসা বহু মানুষকে নিয়ে যাচ্ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সংঘর্ষের পরে নৌকার চালক ঘটনাস্থলে ছিলেন নাকি পালিয়ে গিয়েছিলেন, তা নিয়ে পরস্পরবিরোধী তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
স্থানীয় পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিল যে নৌকার চালক পালিয়ে গেছেন। কিন্তু ফ্লোরিডা ফিশ অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন কমিশন (এফডব্লিউসি) জানিয়েছে, তাদের হাতে এমন কিছু প্রমাণ রয়েছে যা ইঙ্গিত করে যে নৌকটি কিছু সময়ের জন্য ঘটনাস্থলে ছিল।
নৌকার চালকের আইনজীবী জেফ নাইট এক বিবৃতিতে বলেছেন, তার মক্কেল ঘটনাস্থল ত্যাগ করেননি এবং তিনি আহতদের সাহায্য করার চেষ্টা করেছিলেন।
আইনজীবীর দাবি, নাইট ৯১১-এ ফোন করেছিলেন এবং প্রায় ১২ মিনিট ধরে তিনি সাহায্য চেয়ে কথা বলেছিলেন।
তিনি আরও জানান, নাইট ফেরির ক্যাপ্টেনকে আহতদের হাসপাতালে নিতে সাহায্য করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হয়।
দুর্ঘটনার পর নাইট বুঝতে পারেন তার নৌকায় জল ঢুকছে এবং সেটি ডুবে যেতে পারে। তাই তিনি নৌকায় থাকা একটি শিশুকে বাঁচাতে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
আইনজীবীর দাবি, দুর্ঘটনার সময় ফেরিতে পর্যাপ্ত আলো ছিল না এবং ফেরির ক্যাপ্টেন ও অনেক যাত্রী কাছেই ডলফিন দেখতে ব্যস্ত ছিলেন।
এদিকে, নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং ন্যায়বিচার চেয়েছেন।
নিহত ৪১ বছর বয়সী হোসে ক্যাস্টর বোন স্যান্ডি টড বলেছেন, “এটা আমাদের জন্য বিশাল এক ট্র্যাজেডি, আমরা জানি না কীভাবে এর মোকাবিলা করব। আমরা আমার ভাইয়ের জন্য ন্যায়বিচার চাই।
ফ্লোরিডা ফিশ অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন কমিশন (এফডব্লিউসি) জানিয়েছে, তারা দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে কাজ করছে। তারা নৌকার চালকের ব্রেথ অ্যালাইজার টেস্টও করিয়েছে, যাতে অ্যালকোহলের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।
মার্কিন কোস্ট গার্ড এই দুর্ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করছে।
এই ঘটনার তদন্ত এখনো চলছে এবং এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
কর্তৃপক্ষের বক্তব্য অনুযায়ী, এই দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে সব ধরনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে আরও তথ্য প্রকাশ করা হবে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন