শিরোনাম: জুয়া বিষয়ক তদন্তের কারণে বরখাস্ত ক্লিভল্যান্ড গার্ডিয়ান্সের পিচার, অতীতের ঘটনার পুনরাবৃত্তি?
যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লীগ বেসবলে (এমএলবি) জুয়া খেলার অভিযোগ ওঠায় ক্লিভল্যান্ড গার্ডিয়ান্সের পিচার লুইস অর্তিজকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই অর্তিজের শিকাগো কিউবসের বিপক্ষে খেলার কথা ছিল।
এমএলবি কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অর্তিজকে ‘তদন্তের জন্য অল-স্টার বিরতির শেষ পর্যন্ত’ দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। খেলোয়াড় এবং কর্তৃপক্ষের মধ্যে হওয়া এক চুক্তির ভিত্তিতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ক্লিভল্যান্ড গার্ডিয়ান্সও এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এমএলবি তাদের জানিয়েছে যে লুইস অর্তিজকে একটি চলমান তদন্তের কারণে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে, এই মুহূর্তে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত মন্তব্য করতে তারা অপারগ।
জানা গেছে, এই তদন্তের মূল বিষয় হল জুয়া খেলা। যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় এই বেসবল লিগে জুয়া সংক্রান্ত বিতর্ক নতুন নয়। অতীতেও বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় ও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জুয়া খেলার অভিযোগ উঠেছিল।
এর আগে, বেসবলের অন্যতম বড় তারকা শোওহে ওতানির দোভাষী ইপ্পেই মিজuhারা জুয়া খেলার কারণে অভিযুক্ত হয়েছিলেন। মিজuhারা ওতানির কাছ থেকে প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ ডলার চুরি করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল, যা তিনি জুয়া খেলার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছিলেন। যদিও ওতানি কোনো জুয়া খেলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।
এছাড়াও, সান দিয়েগো প্যাড্রেসের শর্টস্টপ টুকুপিতা মারকানোকে জুয়া খেলার দায়ে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তদন্তে জানা গেছে, মারকানো ২০২২ ও ২০২৩ সালে খেলোয়াড় থাকাকালীন সময়ে মোট ১৫ হাজার ডলারের বেশি বাজি ধরেছিলেন। এর মধ্যে এমএলবি সম্পর্কিত বাজি ছিল ৮৭ হাজার ৩১৯ ডলারের।
মারকানোর জুয়া খেলার তালিকায় খেলোয়াড় হিসেবে থাকাকালীন সময়ে খেলা হওয়া পিটসবার্গ পাইরেটসের খেলাও ছিল।
শুধু খেলোয়াড় নয়, মাঠের কর্মকর্তাদেরও জুয়া খেলার কারণে শাস্তি পেতে হয়েছে। এই বছর, লিগ কর্তৃপক্ষ অন্যতম উদীয়মান আম্পায়ার প্যাট হোবার্গকে বরখাস্ত করে।
অভিযোগ ছিল, তিনি এমন একজনের সঙ্গে জুয়া খেলার অ্যাকাউন্ট শেয়ার করেছিলেন যিনি বেসবলে বাজি ধরেছিলেন। যদিও হোবার্গ নিজে বেসবলে বাজি ধরেছিলেন, এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে, তদন্ত বিষয়ক কিছু বার্তা মুছে ফেলার কারণে তাকে বরখাস্ত করা হয়।
ক্রিকেটসহ অন্যান্য খেলার মতো বেসবলেও জুয়া একটি গুরুতর সমস্যা। খেলোয়াড়দের এই ধরনের কার্যকলাপে জড়িত হওয়ার কারণে খেলাটির সম্মানহানি হয় এবং এর স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি খেলাধুলা জগতে জুয়া সংক্রান্ত কঠোর নজরদারির প্রয়োজনীয়তা আরও একবার প্রমাণ করে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন