যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের ক্লিভল্যান্ডে দিনের আলোয় নিজের বাড়ির লন পরিষ্কার করার সময় গুলিতে নিহত হয়েছেন ৬৮ বছর বয়সী টমাস ওভারঅল। পুলিশের ধারণা, এটি একটি ‘মার্ডার-সুইসাইড’-এর ঘটনা।
খবর অনুযায়ী, সন্দেহভাজন ব্যক্তিকেও পরে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটে গত বুধবার, ১৪ই মে, ক্লিভল্যান্ডের ওয়েস্ট পার্ক এলাকার ১৫৭০০ ব্লক মুন রোডে।
ক্লিভল্যান্ড পুলিশ ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওভারঅলকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পান। পরে জানা যায়, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
নিহত টমাস ওভারঅল-এর প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, তিনি একজন অত্যন্ত মিশুক মানুষ ছিলেন। ঘটনার দিন তিনি লন পরিষ্কার করছিলেন, যখন এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ ঘটনাস্থলের কাছেই একটি গাড়িতে সন্দেহভাজন ব্যক্তির মৃতদেহ খুঁজে পায়, যিনি সম্ভবত নিজের বুকে গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন।
ওভারঅল-এর পরিবার শোকাহত। তাঁর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, “টমকে সবাই ভালোবাসতেন। তিনি ছিলেন সবার কাছে প্রিয় একজন মানুষ।”
জানা গেছে ওভারঅল দীর্ঘদিন ধরে ক্লিভল্যান্ডে বসবাস করতেন এবং এই শহরটিকে নিজের করে নিয়েছিলেন। তিনি তাঁর প্রতিবেশীদের খুব ভালোবাসতেন।
আসন্ন স্পেন ভ্রমণে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ওভারঅল। তিনি ক্লিভল্যান্ড হাইকিং ক্লাবের (CHC) সদস্যদের সঙ্গে ১৬ই মে স্পেনে একটি হাইকিং ট্রিপে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন।
সিএইচসি’র প্রেসিডেন্ট শ্যারন উহল জানান, “টম ২০১৩ সাল থেকে আমাদের ক্লাবের সদস্য ছিলেন এবং প্রায় ৬,০০০ মাইল পথ হেঁটেছেন। আমরা তাঁর এই অকাল মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত।”
ক্লিভল্যান্ডের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলম্যান চার্লস স্লাইফ এক শোকবার্তায় নিহত ব্যক্তির পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং এই “অর্থহীন সহিংসতার” নিন্দা করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ডেবি ওরলোস্কি জানান, ওভারঅল ছিলেন একজন অসাধারণ মানুষ। ক্লিভল্যান্ডের মেয়র জাস্টিন বিব এই ঘটনাকে “দুঃখজনক” বলে উল্লেখ করেছেন।
পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তির সঙ্গে এর আগেও কয়েকজনের বিবাদ হয়েছিল। তবে, তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
তথ্য সূত্র: পিপল