বদলে যাওয়া সম্পর্ক! ‘হোয়াট নট টু ওয়্যার’-এর ক্লিন্তন কেলি ও স্ট্যাসি লন্ডনের মুখ

নতুন ফ্যাশন বিষয়ক একটি টিভি শো নিয়ে ফিরছেন ক্লিন্টন কেলি ও স্ট্যাসি লন্ডন। জনপ্রিয় ‘হোয়াট নট টু ওয়্যার’ অনুষ্ঠানের এই দুই তারকা প্রায় এক দশক পর আবারও একসঙ্গে কাজ করতে চলেছেন।

তাদের নতুন শো-এর নাম ‘ওয়্যার হোয়াটএভার দ্য এফ ইউ ওয়ান্ট’। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাদের সম্পর্কের উত্থান-পতন এবং নতুন এই কাজ নিয়ে কথা বলেছেন তারা।

ক্লিন্টন কেলি এবং স্ট্যাসি লন্ডন, ফ্যাশন দুনিয়ার অত্যন্ত পরিচিত মুখ। ‘হোয়াট নট টু ওয়্যার’ অনুষ্ঠানে তাদের উপস্থাপনা দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।

তবে তাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক সবসময় একই রকম ছিল না। ক্লিন্টন কেলি তার আত্মজীবনীতে লিখেছিলেন, তারা একে অপরকে ভালোবাসতেন এবং ঘৃণা করতেন।

এমনকি, স্ট্যাসি লন্ডন তাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্লকও করেছিলেন। তাদের সম্পর্কের এই টানাপোড়েন একসময় বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল।

কিন্তু বছর ঘুরতেই সম্পর্কের বরফ গলে যায়। ২০২৩ সালে তারা পুরনো সব তিক্ততা ভুলে একসঙ্গে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন।

তাদের নতুন শো ‘ওয়্যার হোয়াটএভার দ্য এফ ইউ ওয়ান্ট’-এর ধারণাটি প্রথম ক্লিন্টনের মাথায় আসে। তিনি জানান, এই ধরনের একটি ফ্যাশন বিষয়ক অনুষ্ঠান তৈরি করার জন্য স্ট্যাসিই ছিলেন একমাত্র যোগ্য ব্যক্তি।

স্ট্যাসি লন্ডনের মতে, এটি ছিল খুবই আকর্ষণীয় একটি আইডিয়া। ‘হোয়াট নট টু ওয়্যার’ শেষ হওয়ার ১২ বছর পর ক্লিন্টনের সঙ্গে কাজ করতে রাজি হন তিনি।

পুরনো তিক্ততা প্রসঙ্গে স্ট্যাসি বলেন, ক্লিন্টনের বই প্রকাশের পর তাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। তবে এখন তারা দুজনেই উপলব্ধি করেছেন, একসঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করার কারণে তাদের মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল, সেটি এত সহজে শেষ হওয়ার নয়।

ক্লিন্টন কেলি জানান, বইয়ে তিনি তাদের সম্পর্কের বিষয়ে যা বলেছিলেন, তার ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ঝগড়া হলেও, সেটি ছিল নিছকই পেশাগত কারণে।

তিনি বলেন, একসঙ্গে এত বছর কাজ করার পর, মাঝে মাঝে একা থাকতে ইচ্ছে করাটা স্বাভাবিক।

‘হোয়াট নট টু ওয়্যার’-এ কাজ করার সময় তাদের মধ্যে কিছু বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য হতো, যা স্বাভাবিক বলেই মনে করেন ক্লিন্টন।

সেই সময়টা অনেকটা ভাই-বোনের একসঙ্গে গাড়ি ভ্রমণে যাওয়ার মতো ছিল, যেখানে খুনসুটি, ঝগড়া, হাসি-ঠাট্টা সবই ছিল। তাদের সম্পর্কের এই দিকটিকেই তিনি বইয়ে তুলে ধরেছিলেন।

অনুষ্ঠানের পেছনের কিছু বিষয়ও তাদের সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলেছিল। ক্লিন্টন জানান, কিছু প্রোডিউসারের খারাপ ব্যবহারের কারণে তাদের কাজ করতে সমস্যা হতো।

তাদের প্রতি সেই কর্মকর্তাদের ভালো মনোভাব ছিল না। সিজন ৬-এর অভিজ্ঞতা তাদের জন্য বেশ কঠিন ছিল বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

তবে তাদের সম্পর্কের এই উত্থান-পতনই হয়তো ‘ওয়্যার হোয়াটএভার দ্য এফ ইউ ওয়ান্ট’ অনুষ্ঠানের জন্য ভালো ফল এনেছে।

স্ট্যাসি বলেন, তারা দুজনেই চেয়েছিলো আলাদাভাবে নিজেদের পরিচিতি তৈরি করতে।

নতুন এই অনুষ্ঠানে তারা ক্লায়েন্টদের পোশাক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করবেন এবং তাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা তুলে ধরবেন।

ক্লিন্টন কেলি ও স্ট্যাসি লন্ডনের পারস্পরিক বোঝাপড়া আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। তাদের নতুন শো-তে ফ্যাশনের পরিবর্তনের পাশাপাশি তাদের সম্পর্কের গভীরতাও ফুটে উঠবে।

‘ওয়্যার হোয়াটএভার দ্য এফ ইউ ওয়ান্ট’ অনুষ্ঠানটি আগামী ২৯শে এপ্রিল থেকে প্রাইম ভিডিওতে দেখা যাবে।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *