ফিলাডেলফিয়ায় ক্লাব বিশ্বকাপের ম্যাচে চেলসিকে ৩-১ গোলে হারাল ফ্লামেঙ্গো।
ফুটবল বিশ্বে ক্লাব বিশ্বকাপের আকর্ষণ বাড়ছে, এবং সম্প্রতি ফিলাডেলফিয়ায় অনুষ্ঠিত একটি ম্যাচে তার প্রমাণ পাওয়া গেল। শুক্রবার (তারিখ উল্লেখ করতে হবে) স্থানীয় লিঙ্কন ফাইনান্সিয়াল ফিল্ডে অনুষ্ঠিত খেলায় ব্রাজিলের ক্লাব সি আর ফ্লামেঙ্গো, ইংলিশ ক্লাব চেলসিকে ৩-১ গোলে পরাজিত করে। এই ম্যাচটি শুধু একটি জয়-পরাজয়ের হিসাব ছিল না, বরং ছিল ফুটবলীয় সংস্কৃতির এক দারুণ প্রদর্শনী।
ম্যাচের শুরু থেকেই ফ্লামেঙ্গোর সমর্থকরা যেন জয়োল্লাসে ফেটে পড়েছিলেন। তাদের উন্মাদনা স্টেডিয়ামের উত্তর প্রান্তে এক অন্যরকম আবহ তৈরি করে। একদিকে যখন চেলসির সমর্থকরা হতাশ, তখন ফ্লামেঙ্গোর খেলোয়াড়দের উৎসাহ দিতে গ্যালারিতে ওঠা শ্লোগানগুলো যেন প্রতিপক্ষের মনোবল ভেঙে দিচ্ছিল।
খেলার ১৩ মিনিটের মাথায় চেলসির পেদ্রো নেতো গোল করে দলকে এগিয়ে নিলেও, ফ্লামেঙ্গোর সমর্থকরা যেন তাদের খেলোয়াড়দের আরও বেশি উজ্জীবিত করতে চাচ্ছিল।
ফিফা (FIFA)-র কর্মকর্তারা এই ম্যাচটিকে ক্লাব বিশ্বকাপের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছেন। ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো (Gianni Infantino) এই টুর্নামেন্ট এবং আগামী বিশ্বকাপের তুলনা করেছেন সুপার বোল-এর সঙ্গে, যা আমেরিকান সংস্কৃতির একটি অংশ। এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে তারা বিশ্ব ফুটবলে আমেরিকান উন্মাদনা যোগ করতে চাইছে।
ম্যাচে ফ্লামেঙ্গোর হয়ে গোল করেন জার্সন, ব্রুনো হেনরিকে এবং দানিলো। অন্যদিকে, চেলসির হয়ে একমাত্র গোলটি করেন পেদ্রো নেতো।
ম্যাচের ৬২ মিনিটে ব্রুনো হেনরিকের গোলে ফ্লামেঙ্গো এগিয়ে যাওয়ার পর, গ্যালারিতে উল্লাস আরও বাড়ে। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে চেলসির খেলোয়াড় নিকোলাস জ্যাকসন লাল কার্ড পেলে, তাদের জন্য পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে যায়।
ফুটবলপ্রেমীদের জন্য এই ম্যাচটি ছিল দারুণ উপভোগ্য। বিশেষ করে, ফ্লামেঙ্গোর আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের খেলা মুগ্ধ করার মতো ছিল। তাদের জয় প্রমাণ করে, মাঠের খেলায় কৌশল এবং সমর্থনের মিশ্রণ কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
এই ম্যাচের পর, আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্বকাপের জন্য ফুটবলপ্রেমীদের আগ্রহ আরও বাড়ছে। কারণ, এই স্টেডিয়ামেই বিশ্বকাপের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। এই ম্যাচটি ছিল যেন তারই একটা ঝলক, যেখানে ফুটবল একটি উৎসবে পরিণত হয়েছিল।
তথ্য সূত্র: CNN