ডুবে যাওয়া ছাত্রীর সৈকতে সিএনএন, ভয়ঙ্কর সেই রাতের স্মৃতি!

ডমিনিকান রিপাবলিকে ছুটি কাটাতে গিয়ে এক মার্কিন তরুণীর মর্মান্তিক পরিণতি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সুদীক্ষা কোনানকি, বয়স ২০ বছর। আমেরিকার পেনসিলভেনিয়ার পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ছাত্রী, বন্ধুদের সঙ্গে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন ডমিনিকান রিপাবলিকে। সেখানে সমুদ্রের তীরে ঘটে যাওয়া এক দুর্ঘটনায় নিখোঁজ হন তিনি।

ঘটনার পর দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও, তাঁর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

জানা গেছে, গত ৬ মার্চ, গভীর রাতে বন্ধুদের সঙ্গে সমুদ্রের ধারে গিয়েছিলেন সুদীক্ষা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জশুয়া স্টিভেন রিবে নামের এক যুবক। রিবে, সেন্ট ক্লাউড স্টেট ইউনিভার্সিটির ছাত্র।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী, গভীর রাতে সমুদ্রের তীরে তারা ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে ছিলেন। এরপর আচমকা একটি বিশাল ঢেউ এসে তাঁদের দু’জনকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। রিবে কোনোমতে নিজেকে রক্ষা করতে পারলেও, সুদীক্ষাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

খবর পাওয়ার পরেই সুদীক্ষার খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়। ডমিনিকান রিপাবলিকের পুলিশ, নৌবাহিনী এবং কোস্টগার্ড যৌথভাবে এই অভিযানে অংশ নেয়। আকাশপথে হেলিকপ্টার এবং সমুদ্রপথে ডুবুরি নামিয়েও তল্লাশি চালানো হয়।

কিন্তু সুদীক্ষার কোনো সন্ধান মেলেনি।

সুদীক্ষার পরিবার, বিশেষ করে তাঁর বাবা-মা এই ঘটনায় গভীর শোকাহত। তাঁদের পরিবার ভার্জিনিয়ায় বসবাস করে। মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়ার পর তাঁরা ডমিনিকান রিপাবলিকে ছুটে আসেন।

তাঁরা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁদের মেয়ের জীবিত থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলে উল্লেখ করে, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, এই ঘটনার পর সুদীক্ষার বাবা-মা তাঁদের মেয়ের মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, “আমরা এখন এই কঠিন বাস্তবতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে চেষ্টা করছি যে আমাদের মেয়ে হয়তো আর নেই।

ঘটনার তদন্ত এখনও চলছে। স্থানীয় পুলিশ ও যুক্তরাষ্ট্রের তদন্তকারী দল যৌথভাবে কাজ করছে। তবে, এখন পর্যন্ত কোনো সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করা যায়নি।

রিবে-কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হলেও, তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা হয়নি।

ডমিনিকান রিপাবলিক একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। বিশেষ করে, আমেরিকান তরুণ-তরুণীদের মধ্যে স্প্রিং ব্রেকের সময় এখানে ছুটি কাটানোর প্রবণতা দেখা যায়। সুদীক্ষার এই মর্মান্তিক ঘটনার পর, সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।

তথ্যসূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *