কোলনোস্কোপি: অভিজ্ঞতায় অন্ত্রের স্বাস্থ্য নিয়ে নতুন দিগন্ত!

পেটের সমস্যা: আমার কলোনোস্কোপি এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক অভিজ্ঞতা

দীর্ঘদিন ধরে পেটের নানা সমস্যায় ভুগছিলেন মধ্যবয়সী এক ব্যক্তি। পেট ফোলা,constipation (কোষ্ঠকাঠিন্য) এবং মাঝে মাঝে পেটে ব্যথার কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। অবশেষে, সমস্যার সমাধানে তাঁকে দুটি কলোনোস্কোপি (colonoscopy) এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।

আসলে, চল্লিশোর্ধ্ব এই ব্যক্তির শরীরে ডায়াবেটিসও রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তাঁর স্বাস্থ্য বিষয়ক অভিজ্ঞতা কেমন ছিল, সেই বিষয়েই আজকের আলোচনা।

শুরুর ধাক্কা

ওই ব্যক্তির পেটের সমস্যাগুলো কোন নির্দিষ্ট খাবারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ছিল না। হঠাৎ করেই পেট ফুলতে শুরু করত। এরপর শুরু হয় এক দীর্ঘ প্রক্রিয়া।

সমস্যার সমাধানে তিনি প্রথমে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেন। ডাক্তার কিছু পরীক্ষার পর কলোনোস্কোপি করানোর সিদ্ধান্ত জানান।

কলোনোস্কোপি কী?

কলোনোস্কোপি হল একটি পরীক্ষা, যা আপনার বৃহৎ অন্ত্র বা কোলন পরীক্ষা করতে সাহায্য করে। এই পরীক্ষার মাধ্যমে ডাক্তাররা কোলনের ভেতরের অবস্থা দেখতে পারেন।

সাধারণত, যাদের বয়স ৪৫ বছর বা তার বেশি, তাঁদের এই পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। এই পরীক্ষার মাধ্যমে কোলন ক্যান্সার (colon cancer) এবং অন্যান্য অন্ত্রের রোগ শনাক্ত করা যায়। এছাড়া, এটি পলিপ, আলসার এবং অভ্যন্তরীণ রক্তপাতের মতো সমস্যাগুলো সনাক্ত করতেও সহায়ক।

পরীক্ষার প্রস্তুতি

কলোনোস্কোপির আগে কিছু প্রস্তুতি নিতে হয়। পরীক্ষার আগে কয়েক দিন তরল খাবার খেতে হয় এবং বিশেষ কিছু ওষুধ সেবন করতে হয়, যা অন্ত্র পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।

এই প্রস্তুতি পর্বটি বেশ কষ্টকর ছিল, কারণ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি একটু কঠিন।

পরীক্ষার ফল

প্রথম কলোনোস্কোপিতে তেমন কোনো গুরুতর সমস্যা ধরা পড়েনি। তবে, দ্বিতীয়বার পরীক্ষার পর তাঁর শরীর থেকে দুটি ছোট পলিপ (polyp) অপসারণ করা হয়।

পরীক্ষার ফলাফলে জানা যায়, এগুলো তেমন উদ্বেগের কারণ নয়।

বদলে যাওয়া জীবনযাত্রা

কলোনোস্কোপির পর ওই ব্যক্তি তাঁর জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনেন। স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ এবং নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে তিনি তাঁর হজমক্ষমতাকে উন্নত করার চেষ্টা করেন।

এছাড়াও, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেন।

উপসংহার

পেটের সমস্যা একটি জটিল বিষয় হতে পারে। তাই, কোনো সমস্যা হলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

কলোনোস্কোপির মতো পরীক্ষাগুলো রোগ নির্ণয়ে সাহায্য করতে পারে।

তথ্য সূত্র: হেলথলাইন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *