গোপন ক্লাবে অভিযান: অভিবাসী ও সেনাসদস্যদের গ্রেপ্তার!

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো স্প্রিংস-এ একটি গোপন নাইটক্লাবে অভিযান চালিয়ে একশোর বেশি অভিবাসীকে আটক করেছে ফেডারেল কর্তৃপক্ষ। রবিবার ভোরে হওয়া এই অভিযানে মাদক ব্যবসা, যৌনকর্মী সরবরাহ এবং সহিংসতার মতো গুরুতর অপরাধের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযানে সহায়তা করেছেন সামরিক বাহিনীর সক্রিয় সদস্যরাও। অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ক্লাবটি একটি বাণিজ্যিক এলাকার আড়ালে চলছিল এবং সেখানে মাদকদ্রব্য কেনাবেচা, দেহ ব্যবসা সহ বিভিন্ন অবৈধ কার্যকলাপ চলত।

মাদকদ্রব্যের মধ্যে কোকেন এবং “টুসি” নামে পরিচিত গোলাপি রঙের মাদকও পাওয়া গেছে। অভিযানে জড়িত সন্দেহে বেশ কয়েকজন মার্কিন সেনা সদস্যকে আটক করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।

মার্কিন মাদক নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো (Drug Enforcement Administration – DEA) জানিয়েছে, এই নাইটক্লাবটি বেশ কয়েক মাস ধরে তাদের নজরদারিতে ছিল। অভিযানে ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (FBI), ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (ICE) সহ বিভিন্ন সংস্থার দুই শতাধিক কর্মকর্তা অংশ নেন।

অভিযানে আটককৃত অভিবাসীদের মধ্যে যাদের বৈধ কাগজপত্র নেই, তাদের হেফাজতে নিয়েছে ICE। অভিযানকালে ক্লাব থেকে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

এছাড়া, ভেনেজুয়েলার একটি কুখ্যাত গ্যাং, ‘ট্রেন দে আরাগুয়া’, এমএস-১৩ এবং হেলস অ্যাঞ্জেলস-এর সদস্যদের উপস্থিতির প্রমাণও পাওয়া গেছে। তবে, অভিযানে তাদের সংশ্লিষ্টতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।

ডিইএ’র একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, কলোরাডো স্প্রিংস শহরকে অপরাধমুক্ত করতে এই অভিযান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তদন্তকারীরা এখন আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের সনাক্ত করার চেষ্টা করছেন।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *