মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো অঙ্গরাজ্যে একটি নাইটক্লাবে অভিযান চালিয়ে একশো জনের বেশি অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির ফেডারেল কর্তৃপক্ষ। মাদক পাচার, যৌন ব্যবসা এবং সহিংসতার অভিযোগের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়।
দেশটির মাদক নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (DEA) জানিয়েছে, গত রবিবার ভোরে কলোরাডো স্প্রিংস-এর একটি আন্ডারগ্রাউন্ড নাইটক্লাবে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ডিইএ’র রকি মাউন্টেন বিভাগের বিশেষ এজেন্ট ইনচার্জ জোনাথন সি. পুলেন এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ক্লাবের ভেতরে গুরুতর মাদক ব্যবসা, পতিতাবৃত্তি এবং সহিংসতার মতো ঘটনা ঘটছিল। তিনি আরও জানান, অভিযানকালে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে।
আটকদের মধ্যে যাদের অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করার অভিযোগ রয়েছে, তাদের ইমিগ্রেশন এবং কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (ICE)-এর হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ডিইএ জানিয়েছে, ক্লাবের ভেতরে অন্তত ২০০ জন লোক ছিল, যাদের মধ্যে ১১০ জনের বেশি অভিবাসী অবৈধভাবে বসবাস করছিলেন।
অভিযানে ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই), অ্যালকোহল, তামাক ও অস্ত্র ব্যুরো (এ টি এফ), ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এবং স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা অংশ নেয়। পুলেন জানান, অভিযানে কয়েক’শ এজেন্ট অংশ নিয়েছিল।
ডিইএ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নাইটক্লাবে প্রবেশের আগে কর্মকর্তাদের উপস্থিতি ঘোষণা করা হয় এবং সেখানকার লোকজনকে বের হয়ে আসার জন্য একাধিকবার সতর্ক করা হয়।
অভিযানকালে ক্লাব থেকে কোকেন এবং ‘টুসি’ নামে পরিচিত গোলাপি রঙের মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া, অভিযানে সক্রিয় দায়িত্বে থাকা বেশ কয়েকজন সামরিক সদস্যকেও পাওয়া যায়, যাদের মধ্যে কেউ কেউ নাইটক্লাবে নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে কাজ করতেন।
তাদের সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটকের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক প্রতিক্রিয়ায় এই অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন।
তিনি এক পোস্টে লেখেন, “আমাদের দেশে অবৈধভাবে বসবাস করা সবচেয়ে খারাপ লোকগুলোর বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযান চালানো হয়েছে। এদের মধ্যে মাদক ব্যবসায়ী, খুনি এবং অন্যান্য সহিংস অপরাধীও রয়েছে।” কলোরাডো স্প্রিংস-এর মেয়র ইয়েমি মবোলাদে জানিয়েছেন, “যে কোনো ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড এখানে বরদাস্ত করা হবে না।”
তথ্যসূত্র: সিএনএন