যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য কলোরাডোর স্টেট ক্যাপিটলে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি প্রতিকৃতি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। খবর অনুযায়ী, ট্রাম্প নিজেই ছবিটির সমালোচনা করে এটিকে ‘বিকৃত’ বলে অভিহিত করেছেন।
রিপাবলিকান দলের কলোরাডোর আইনপ্রণেতারা ট্রাম্পের সামাজিক মাধ্যমে করা মন্তব্যের পরেই ছবিটি সরিয়ে নেওয়ার আবেদন জানান।
২০১৯ সাল থেকে এই প্রতিকৃতিটি ক্যাপিটলের দেওয়ালে অন্যান্য মার্কিন প্রেসিডেন্টদের ছবির সঙ্গে স্থান পেয়েছিল। ট্রাম্পের প্রতিকৃতিটি নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত হয়, যখন তিনি ছবিটির সমালোচনা করে নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
এরপর রিপাবলিকান দলের নেতারা ছবি পরিবর্তনের জন্য তহবিল সংগ্রহ শুরু করেন। জানা গেছে, নতুন ছবি তৈরির জন্য তারা ১০,০০০ ডলারের বেশি অর্থ সংগ্রহ করেছেন।
কলোরাডো স্টেট ক্যাপিটলে প্রেসিডেন্টদের প্রতিকৃতি প্রদর্শিত হয়, যেখানে ট্রাম্পের ছবিটিও ছিল। তবে সমালোচনার পর সেটি সরিয়ে নেওয়া হয়।
ডেমোক্রেট দলের আইনপ্রণেতারা অবশ্য ছবি সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে কোনো আপত্তি জানাননি। তারা জানিয়েছেন, রিপাবলিকানরা যদি ট্রাম্পের প্রতিকৃতি নিয়ে সময় ও অর্থ ব্যয় করতে চান, তবে সেটি তাদের বিষয়।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ট্রাম্প প্রতিকৃতিটি পছন্দ করেননি এবং এটিকে বিকৃত হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
তিনি এর বদলে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রতিকৃতির প্রশংসা করেন, যা একই শিল্পী তৈরি করেছিলেন। উল্লেখ্য, এই প্রতিকৃতিগুলো কলোরাডোর গভর্নরের কার্যালয়ের অধীনে নয়, বরং কলোরাডো বিল্ডিং অ্যাডভাইসরি কমিটির তত্ত্বাবধানে রয়েছে।
ছবিটি স্থাপনের আগে, এক ব্যক্তি ট্রাম্পের ছবির স্থানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ছবি লাগিয়ে দিয়েছিলেন।
শিল্পী সারা বোর্ডম্যানের আঁকা ট্রাম্পের প্রতিকৃতিটিকে প্রথমে “নিরপেক্ষ” এবং “চিন্তাশীল” হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছিল, যা নিয়ে কিছু মানুষের মধ্যে ভিন্নমত ছিল। কারণ তাদের মতে, ট্রাম্পের ব্যক্তিত্ব এর চেয়ে ভিন্ন।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস