ফেডারেল ফান্ড বিতর্কে কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির নীতিতে বড় পরিবর্তন!

যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি তাদের নীতিমালায় কিছু পরিবর্তন এনেছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বিভিন্ন বিষয়ে ছাত্র বিক্ষোভের জেরে ফেডারেল সরকারের পক্ষ থেকে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলারের তহবিল প্রত্যাহার করা হয়েছিল।

এরপরই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নতুন নীতির আওতায় ভর্তি প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করা হবে। এছাড়া, হয়রানির অভিযোগ জানানো আরও সহজ করা হয়েছে।

কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে বিক্ষোভ প্রদর্শনের স্থান সীমিত করা হবে এবং প্রতিবাদ সমাবেশে মুখোশ পরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ক্যাম্পাস পুলিশকে গ্রেপ্তারের বাড়তি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, সেই সঙ্গে বিক্ষোভের সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রোভোস্ট অফিসের ক্ষমতাও বৃদ্ধি করা হয়েছে।

এখানে ‘প্রোভোস্ট’ বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক প্রধানকে বোঝানো হচ্ছে, যিনি উপাচার্যের পরেই পদাধিকারবলে থাকেন এবং শিক্ষা-সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় দেখাশোনা করেন।

শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমও পর্যালোচনা করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে মধ্যপ্রাচ্য সম্পর্কিত কোর্সগুলো এই পর্যালোচনার আওতায় আনা হয়েছে।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফেডারেল সরকারের কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে আর্থিক সহায়তা আসে। এই সহায়তা গবেষণা, শিক্ষা ও অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যবহৃত হয়।

কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এই নীতি পরিবর্তনের কারণ হিসেবে মূলত ট্রাম্প প্রশাসনের সময়কার তহবিল প্রত্যাহারের বিষয়টি সামনে এসেছে। বিক্ষোভের কারণে এই তহবিল প্রত্যাহার করা হয়েছিল।

এই প্রেক্ষাপটে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি বিবেচনা করে নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করেছে।

বিষয়টি এখনও চলমান এবং ভবিষ্যতে এতে আরও পরিবর্তন আসতে পারে। সিএনএন-এর পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত নথিপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *