যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান লাইব্রেরিতে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। খবর পাওয়ার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের (NYPD) সাহায্য চায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানা যায়, বাটার লাইব্রেরিতে (Butler Library) অনেক বিক্ষোভকারীর উপস্থিতি ছিল। তারা লাইব্রেরির ভেতরে প্রবেশ করতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছিল। এছাড়া, বহিরাগতদের উপস্থিতিও ছিল, যা নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ক্ল্যার শিপম্যান এক বিবৃতিতে জানান, বিক্ষোভের কারণে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছিল।
জানা গেছে, ফাইনাল পরীক্ষার ঠিক দুই দিন আগে এই ঘটনা ঘটে। বিক্ষোভকারীরা লাইব্রেরির ৩০১ নম্বর কক্ষে প্রবেশ করে এবং সেখানে তারা ইসরায়েলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহারের দাবি জানায়।
বিক্ষোভকারীরা লাইব্রেরির নাম পরিবর্তন করে ‘বাসেল আল-আরাজ পপুলার ইউনিভার্সিটি’ নামকরণেরও প্রস্তাব দেয়। ফিলিস্তিনের অ্যাক্টিভিস্ট বাসেল আল-আরাজের স্মরণে এই নামকরণের প্রস্তাব করা হয়। ২০১৭ সালে তিনি মারা যান।
বিক্ষোভ চলাকালে লাইব্রেরিতে প্রবেশের সময় দুই নিরাপত্তা কর্মী আহত হয়েছেন। বিক্ষোভকারীদের বারবার ক্যাম্পাস ত্যাগ করতে বলা হলেও, তারা রাজি হননি।
তাদের জানানো হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অনুপ্রবেশের দায়ে গ্রেপ্তারও করা হতে পারে। নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস এক্সে (X) বলেছেন, “অবৈধভাবে প্রবেশকারীদের সরিয়ে দিতে এনওয়াইপিডি-কে পাঠানো হয়েছে।”
গত বছরও কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থীদের বিক্ষোভ দেখা গিয়েছিল। বিক্ষোভকারীরা হ্যামিল্টন হল (Hamilton Hall) দখল করে এবং সেটির নাম পরিবর্তন করে ‘হিন্ডস হল’ রাখার দাবি জানায়।
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত পাঁচ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি শিশুর প্রতি সম্মান জানাতে এই নামকরণের প্রস্তাব করা হয়েছিল।
নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হচুল জানিয়েছেন, তিনি পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত আছেন এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন