কঙ্গোতে নতুন করে ইবোলা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে, যেখানে এরই মধ্যে ২৮ জনের মধ্যে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে।
এটি কঙ্গোতে ইবোলার ১৬তম প্রাদুর্ভাব। স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্যামুয়েল-রজার কাম্বা জানিয়েছেন, মৃতের হার ৫৩.৬ শতাংশ, যা পরিস্থিতি কতটা গুরুতর, তা বুঝিয়ে দেয়।
প্রাথমিকভাবে, কাসাই প্রদেশের বুলাপে এলাকায় ৩১ বছর বয়সী এক গর্ভবতী নারীর শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সন্দেহভাজন রোগীদের বিষয়ে গবেষণা চলছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী কাম্বা আরও জানান, এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে ২৮ জন আক্রান্ত এবং ১৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বুলাপেতে ১৪ জন এবং মওকাতে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া, স্বাস্থ্যকর্মীও রয়েছেন ৪ জন। আক্রান্ত এবং মৃতদের জ্বর, বমি, ডায়রিয়া এবং শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের মতো উপসর্গ দেখা গেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানিয়েছে, তারা কাসাই প্রদেশে দ্রুত একটি দল পাঠিয়েছে। এই দল রোগ নজরদারি, চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে সংক্রমণ প্রতিরোধের ব্যবস্থা জোরদার করতে কাজ করবে।
একইসঙ্গে ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম, মোবাইল ল্যাবরেটরি এবং চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ করা হচ্ছে। সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, কঙ্গোর কাছে ইবোলার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং এরভেবো ভ্যাকসিন মজুত রয়েছে।
আফ্রিকার আঞ্চলিক পরিচালক ড. মোহামেদ জানাবি বলেছেন, “আমরা দ্রুত ভাইরাসটির বিস্তার রোধ করতে এবং স্থানীয় জনবসতিকে রক্ষা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”
ইবোলা ভাইরাস অত্যন্ত সংক্রামক। এটি রোগীর বমি, রক্ত বা বীর্যের মাধ্যমে ছড়াতে পারে। এই রোগটি বিরল হলেও মারাত্মক।
আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যুর ঝুঁকিও অনেক বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই পরিস্থিতিতে জরুরি পদক্ষেপ নিয়েছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি প্রতিবেশী দেশ উগান্ডাতেও ইবোলার প্রাদুর্ভাব দেখা গিয়েছিল।
ভ্রমণকারী এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তথ্য সূত্র: সিএনএন