যুক্তরাষ্ট্রের আইস-এর হেফাজতে: কংগ্রেসওম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ‘হাস্যকর’!

যুক্তরাষ্ট্রের একজন ডেমোক্রেটিক কংগ্রেসম্যানের বিরুদ্ধে একটি অভিবাসন কেন্দ্রে (ICE) কর্মকর্তাদের সঙ্গে সংঘাতে জড়িত থাকার অভিযোগে ফেডারেল চার্জ আনা হয়েছে। নিউ জার্সির এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

মঙ্গলবার, ডেমোক্রেট দলের কংগ্রেসম্যান লা’মনিকা ম্যাকআইভার এই অভিযোগকে ‘অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি জানান, গত কয়েকদিন আগে নিউ জার্সির নেওয়ার্কে অবস্থিত একটি ICE ডিটেনশন সেন্টারে পরিদর্শনের সময় এই ঘটনা ঘটে।

ম্যাকআইভার এবং অন্যান্য আইনপ্রণেতারা যখন কেন্দ্রটি পরিদর্শনে যান, তখন কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাদের বাদানুবাদ হয়।

অভিযোগ অনুযায়ী, কর্মকর্তাদের কাজে বাধা দেওয়া, তাদের প্রতি সহিংস আচরণ এবং তাদের আহত করার চেষ্টা করার অভিযোগ আনা হয়েছে ম্যাকআইভারের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, ম্যাকআইভারের দাবি, তিনি কেবল তার দায়িত্ব পালন করছিলেন।

তিনি জানান, কর্মকর্তাদের ওপর হামলার কোনো প্রশ্নই ওঠে না, বরং ICE কর্তৃপক্ষের ভুলের কারণেই পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।

এই ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন আইনপ্রণেতারা কেন্দ্র পরিদর্শনের চেষ্টা করেন। এর আগে, নিউয়ার্কের মেয়র রাস বারাকাকেও আটকের চেষ্টা করা হয়েছিল, যিনি আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করতে চেয়েছিলেন।

তবে, প্রসিকিউটররা পরে বারাকার বিরুদ্ধে আনা অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত মার্কিন অ্যাটর্নি আলিনা হাব্বা ম্যাকআইভারের বিরুদ্ধে কর্মকর্তাদের কাজে বাধা দেওয়া, তাদের প্রতি সহিংস আচরণ এবং তাদের আহত করার চেষ্টার অভিযোগ আনেন।

ম্যাকআইভার বর্তমানে পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করছেন। তিনি জানিয়েছেন, তার আইনজীবীরা নিউ জার্সির ফেডারেল আদালতের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।

তিনি বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং তিনি তার কাজ চালিয়ে যাবেন।

যুক্তরাষ্ট্রে, ICE বা ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট হলো হোমল্যান্ড সিকিউরিটির একটি অংশ, যা মূলত অভিবাসন আইন কার্যকর করার দায়িত্বে নিয়োজিত। কংগ্রেসের সদস্যরা এই ধরনের ফেডারেল সুবিধাগুলোর ওপর তদারকি করার ক্ষমতা রাখেন।

এই ঘটনার জেরে, ম্যাকআইভারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের রাজনৈতিক এবং আইনি প্রভাব নিয়ে এখন আলোচনা চলছে। বিশেষ করে, এই ধরনের অভিযোগের কারণে একজন জনপ্রতিনিধির কর্মজীবনে কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে, তা নিয়েও অনেকের মধ্যে উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে।

তথ্য সূত্র: CNN

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *