আসছে ‘কনজ্যুারিং ৪’ : সত্য ঘটনার ভয়ংকর রূপ!

আসন্ন চলচ্চিত্র ‘দ্য কনজুরিং: লাস্ট রাইটস’ – বাস্তব ঘটনার উপর ভিত্তি করে নির্মিত একটি ভৌতিক সিনেমা, যা ১৯৮৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়ার একটি পরিবারের ভুতুড়ে অভিজ্ঞতার গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে। এই সিনেমায় প্যারানর্মাল ইনভেস্টিগেটর এড ও লরেন ওয়ারেনের একটি বাস্তব মামলার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

**দ্য কনজুরিং ফ্র্যাঞ্চাইজি: একটি পরিচিতি**

‘দ্য কনজুরিং’ একটি জনপ্রিয় হরর চলচ্চিত্র সিরিজ, যা বাস্তব জীবনের অতিপ্রাকৃত ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত। এই সিরিজের সিনেমাগুলো দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

‘দ্য কনজুরিং: লাস্ট রাইটস’ এই সিরিজের চতুর্থ সিনেমা, যেখানে আগের সিনেমাগুলোর মতোই বাস্তব ঘটনার ছায়া রয়েছে।

**স্মার্ল পরিবারের ভুতুড়ে অভিজ্ঞতা**

১৯৮৬ সালে, পেনসিলভেনিয়ার ওয়েস্ট পিটস্টন এলাকার একটি পরিবার, স্মার্ল পরিবার, তাদের বাড়িতে অদ্ভুত কিছু ঘটনার সম্মুখীন হন। তারা দাবি করেন যে, তাদের বাড়িতে অশরীরী আত্মার আনাগোনা ছিল।

পরিবারের সদস্যরা নানা ধরনের অস্বাভাবিক অভিজ্ঞতার কথা জানান, যেমন – শব্দ, গন্ধ, এবং এমনকি শারীরিক আক্রমণের শিকার হওয়া। তাদের এই ভুতুড়ে অভিজ্ঞতা ক্রমশ ভয়ঙ্কর রূপ নিতে শুরু করে।

**এড ও লরেন ওয়ারেনের আগমন**

স্মার্ল পরিবারের এই দুরবস্থা সম্পর্কে জানার পর, বিখ্যাত প্যারানর্মাল ইনভেস্টিগেটর এড ও লরেন ওয়ারেন তাদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন।

ওয়ারেন দম্পতি তাদের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে প্রমাণ করেন যে, স্মার্ল পরিবারের বাড়িটিতে সত্যিই কিছু অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটছে। তারা বাড়িটিতে উপস্থিত অশুভ শক্তিকে তাড়ানোর চেষ্টা করেন।

**সিনেমায় চরিত্র এবং প্রেক্ষাপট**

‘দ্য কনজুরিং: লাস্ট রাইটস’ ছবিতে এড ও লরেন ওয়ারেনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন যথাক্রমে প্যাট্রিক উইলসন ও ভেরা ফার্মিগা।

সিনেমার গল্পে দেখা যাবে, ওয়ারেন দম্পতি কিভাবে স্মার্ল পরিবারের বাড়ি থেকে অশুভ শক্তি দূর করতে চেষ্টা করছেন। সিনেমার প্রেক্ষাপট তৈরি করা হয়েছে ১৯৮৬ সালের ঘটনার উপর ভিত্তি করে।

**বাস্তবতা এবং সিনেমার পার্থক্য**

যদিও সিনেমাটি বাস্তব ঘটনার দ্বারা অনুপ্রাণিত, তবে সিনেমার চিত্রনাট্যে কিছু পরিবর্তন থাকতে পারে।

সিনেমার নির্মাতারা ঘটনার নাটকীয়তা বাড়াতে এবং দর্শকদের আকর্ষণ করার জন্য কিছু শৈল্পিক স্বাধীনতা নিয়ে থাকেন।

**স্মার্ল পরিবারের বর্তমান অবস্থা**

বাস্তব জীবনে, স্মার্ল পরিবার দীর্ঘদিন ধরে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

তাদের এই অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি বইও লেখা হয়েছে, যা পরে একটি টিভি মুভিতে রূপান্তরিত হয়। পরিবারের সদস্যরা এখনো তাদের সেই দুঃস্বপ্নের স্মৃতি নিয়ে মাঝে মাঝে কথা বলেন।

আসন্ন সিনেমাটি দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। ভৌতিক গল্পের ভক্তদের জন্য এটি একটি উল্লেখযোগ্য আকর্ষণ হতে পারে।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *