কে এই লরেন কাইল? ম্যাকডেভিডের স্ত্রীর জীবন!

এডমন্টন অয়েলার্সের তারকা খেলোয়াড় কনর ম্যাকডেভিডের জীবনসঙ্গী কে? লরেন কাইল ম্যাকডেভিড, যিনি একজন সফল ডিজাইনার এবং উদ্যোক্তা।

কানাডার বরফ হকি খেলোয়াড় কনর ম্যাকডেভিডের সাফল্যের পেছনে সবসময় যিনি ছিলেন, তিনি হলেন লরেন কাইল ম্যাকডেভিড। এই দম্পতির প্রেম ও সাফল্যের গল্প এখন অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা।

২০১৪ সালে তাদের প্রথম দেখা হয় এবং এর কিছুদিন পরেই তারা ডেটিং শুরু করেন। এরপর ২০২৩ সালে তাদের বাগদান সম্পন্ন হয় এবং ২০২৪ সালে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

লরেন পেশায় একজন স্বনামধন্য ইন্টেরিয়র ডিজাইনার এবং একটি বারের মালিক। তিনি শুধু একজন ডিজাইনারই নন, বরং ব্যবসার জগতেও সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন।

২০১৬ সালে তিনি টরন্টো থেকে এডমন্টনে কনরের কাছে চলে আসেন। সেখানে তারা একটি বাড়ি তৈরি করেন, যা তাদের রুচি ও ভালোবাসার প্রতীক।

বাড়িটি তাদের পছন্দ অনুযায়ী ডিজাইন করা হয়েছে, যেখানে বাস্কেটবল খেলার কোর্ট থেকে শুরু করে আন্ডারগ্রাউন্ড বার পর্যন্ত সবকিছু রয়েছে।

লরেন কাইল-এর ডিজাইন স্টুডিও ‘কাইল অ্যান্ড কোং’ (Kyle&Co) এর কাজ প্রশংসিত হয়েছে। আধুনিক ডিজাইন এবং ক্লাসিক উষ্ণতার মিশ্রণে তিনি তার কাজের ধারা তৈরি করেছেন।

এছাড়াও, তিনি ‘স্পোর্টস ক্লাব অ্যাটেলিয়ার’ নামে একটি পোশাকের ডিজাইন করেন, যা মূলত এডমন্টন অয়েলার্সের খেলোয়াড়দের জন্য তৈরি করা হয়।

ব্যবসায়ীক সাফল্যের পাশাপাশি লরেন একজন সফল বার মালিকও। এডমন্টনের ‘বার ট্রোভ’ (Bar Trove)-এর মালিক তিনি, যেখানে আকর্ষণীয় পানীয় এবং সুন্দর পরিবেশ বিদ্যমান।

কনর এবং লরেনের জীবনে তাদের পোষা কুকুর লেনিরও বিশেষ স্থান রয়েছে। লেনির নামের একটি বার্নেডুডল রয়েছে, যা তাদের পরিবারের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

লরেন প্রায়ই তার স্বামী এবং কুকুরের ছবি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেন।

তাদের সম্পর্কের শুরুটা ছিল অনেকটা বন্ধুত্বের মতোই। কনরের এক বন্ধু, যিনি নিজেও একসময় হকি খেলতেন, তাদের প্রথম ডেটিংয়ের ব্যবস্থা করেন।

তাদের ভালোবাসার গভীরতা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে, যা তাদের বিয়ে এবং ব্যক্তিগত জীবনেও প্রতিফলিত হয়।

সংক্ষেপে বলতে গেলে, লরেন কাইল ম্যাকডেভিড একজন সফল নারী, যিনি তার স্বামীর ভালোবাসার পাশাপাশি নিজের কর্মজীবনেও উজ্জ্বল। তাদের এই পথচলা অনেকের কাছেই অনুকরণীয়।

তথ্যসূত্র: বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *