হোয়াইট হাউসে বিতর্ক! অভিবাসন নিয়ে মুখ খুলতেই ক্ষেপে গেলেন সবাই!

আয়ারল্যান্ডের জনপ্রিয় মিক্সড মার্শাল আর্ট ফাইটার (MMA) কনর ম্যাকগ্রেগর সম্প্রতি হোয়াইট হাউসে গিয়ে অভিবাসন নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। তাঁর এই মন্তব্যের জেরে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে, এমনকি নিন্দা করেছেন আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীও।

সেন্ট প্যাট্রিকস ডে উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের আগে ম্যাকগ্রেগর বলেন, “আয়ারল্যান্ড তার আইরিশ পরিচয় হারাতে বসেছে।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, “অবৈধ অভিবাসন চক্র” দেশটির ওপর “বিধ্বংসী প্রভাব” ফেলছে।

হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ম্যাকগ্রেগর বলেন, “আয়ারল্যান্ডের কিছু গ্রামীণ জনপদ এক ঝটকায় যেনো জনশূন্য হয়ে গেছে।” তিনি জানান অভিবাসন সমস্যাটি তিনি ট্রাম্পের কাছে তুলে ধরতে চান।

উল্লেখ্য, অভিবাসন ট্রাম্পের প্রধান আগ্রহের বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম, এবং তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করা কাগজপত্রহীন ব্যক্তিদের বিতাড়িত করার ওপর জোর দিচ্ছেন।

ম্যাকগ্রেগরের এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে নিন্দা জানিয়েছেন আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মিহোল মার্টিন। তিনি বলেন, “কনর ম্যাকগ্রেগরের মন্তব্যগুলো ভুল এবং সেন্ট প্যাট্রিকস ডে’র spirit-এর সঙ্গে মেলে না, তেমনি আয়ারল্যান্ডের জনগণের মতামতেরও প্রতিফলন ঘটায় না।”

মার্টিন আরও যোগ করেন, “সারা বিশ্বে সেন্ট প্যাট্রিকস ডে-র মূল ভিত্তি হলো কমিউনিটি, মানবতা, বন্ধুত্ব এবং সৌহার্দ্য।”

ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ম্যাকগ্রেগর এর আগেও বিভিন্ন সময়ে আলোচনায় এসেছেন। গত বছর, একটি দেওয়ানি মামলায় যৌন নির্যাতনের দায়ে অভিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি।

যদিও ম্যাকগ্রেগর দাবি করেছিলেন যে এটি ছিল পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে করা একটি কাজ। বর্তমানে তিনি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন।

রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন উঠেছে যে ম্যাকগ্রেগর সম্ভবত ভবিষ্যতে আয়ারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের কারণে অনেকের ধারণা ছিল, এমন সম্ভাবনা হয়তো আর নেই।

আয়ারল্যান্ডে অভিবাসন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দেশটির সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে অনেক মানুষ যুক্তরাজ্য থেকে আসা-যাওয়া করে।

দেশটির বিচারমন্ত্রী জিম ও’ক্যালাঘান জানিয়েছেন, যারা আন্তর্জাতিক সুরক্ষার যোগ্য নয়, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, জানুয়ারিতে আশ্রয় প্রার্থনার জন্য জমা পড়া আবেদনের ৮০ শতাংশের বেশি প্রথম দফায় প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *