জনগণের আস্থা তলানিতে, চরম উদ্বেগে অর্থনীতি!

যুক্তরাষ্ট্রে ভোক্তাদের আস্থা সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে, যা ২০২৩ সালের জানুয়ারীর পর থেকে দেখা যায়নি। দেশটির অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগের কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

কনফারেন্স বোর্ড নামক একটি সংস্থার জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে।

জরিপে দেখা গেছে, চলতি মাসে ভোক্তাদের আস্থা সূচক ৭.২ পয়েন্ট কমে ৯২.৯-এ দাঁড়িয়েছে। গত ডিসেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর থেকেই এই সূচক নিম্নমুখী।

ফেব্রুয়ারী মাসের পতনের মতোই মার্চের এই পতন, যা আমেরিকান ভোক্তাদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান হতাশার চিত্র তুলে ধরে।

শুধু তাই নয়, আমেরিকানরা এ বছর উচ্চ মূল্যস্ফীতি আশা করছে এবং তাদের অনেকেই আশঙ্কা করছেন যে, দেশটির অর্থনীতি মন্দার দিকে যেতে পারে।

দুর্বল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি – এই দুইয়ের সংমিশ্রণ ‘স্ট্যাগফ্লেশন’-এর মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।

ফেডারেল রিজার্ভের কর্মকর্তারাও মনে করেন, মার্কিন অর্থনীতি সেই দিকেই যাচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই অর্থনৈতিক দুর্বলতা বিশ্ব অর্থনীতির উপর প্রভাব ফেলতে পারে।

এর কারণ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক মন্দা বিশ্ব বাণিজ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, যার প্রভাব বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও পড়তে পারে।

উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প, যা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পণ্য রপ্তানি করে, তাদের চাহিদা হ্রাস পেতে পারে।

এছাড়া, আমদানি করা পণ্যের দামও বেড়ে যেতে পারে, যা বাংলাদেশের বাজারে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়িয়ে দেবে।

ভোক্তাদের আস্থার এই পতন মূলত উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং সম্ভাব্য মন্দার আশঙ্কার কারণে ঘটছে।

কনফারেন্স বোর্ডের জরিপে দেখা গেছে, আমেরিকানরা এখন জিনিসপত্রের দাম আরও বাড়বে বলে মনে করছেন।

এর ফলে, তারা তাদের কেনাকাটা কমিয়ে দিতে পারেন, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে আরও দুর্বল করে দেবে।

এই পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশের জন্য শিক্ষা হলো, কিভাবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের এই পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিয়ে, বাংলাদেশ সরকার অর্থনৈতিক নীতি প্রণয়নে আরও সতর্ক হতে পারে এবং বিশ্ব অর্থনীতির পরিবর্তনগুলো বিবেচনা করে ব্যবস্থা নিতে পারে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *