ভয়ঙ্কর গরমেও শান্তি! এই গ্যাজেটগুলো এনে দেবে শীতলতা!

গরমকালে স্বস্তি: গরমে আরাম পেতে কিছু প্রয়োজনীয় গ্যাজেট

এই সময়ে বাংলাদেশের গ্রীষ্মকাল যেন এক অসহনীয় অভিজ্ঞতা নিয়ে আসে। তীব্র গরম আর আর্দ্রতা মিলে জনজীবনকে অতিষ্ঠ করে তোলে। গরম থেকে বাঁচতে মানুষ কত কিছুই না করে – ঘন ঘন গোসল করা, হালকা পোশাক পরা, রাস্তার পাশে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নেওয়া ইত্যাদি।

তবে, আধুনিক কিছু গ্যাজেট ব্যবহার করে এই গরমেও পাওয়া যেতে পারে আরাম। আসুন, তেমনই কিছু প্রয়োজনীয় গ্যাজেট সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক যা গরমকালে আপনাকে দিতে পারে স্বস্তি।

১. কুলিং টাওয়েল: গরমকালে শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য কুলিং টাওয়েল খুবই উপযোগী। এটি বিশেষ ধরণের কাপড় দিয়ে তৈরি, যা পানি শোষণ করে এবং পরে ধীরে ধীরে বাষ্পীভূত হয়ে শরীরকে শীতল রাখে।

বাজারে বিভিন্ন ধরণের কুলিং টাওয়েল পাওয়া যায়, যেগুলোর দাম ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে। এই ধরনের টাওয়েল ব্যবহারের ফলে খেলাধুলা বা শরীরচর্চার সময় ঘাম থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং শরীর ঠান্ডা থাকে।

বাংলাদেশের বাজারে বিভিন্ন স্পোর্টস সামগ্রীর দোকানে অথবা অনলাইন মার্কেটপ্লেসে (যেমন, দারাজ) এই ধরনের টাওয়েল খুঁজে পাওয়া যেতে পারে।

২. গাড়ির উইন্ডশীল্ড সান শেড: গরমের সময় গাড়িতে বসে থাকাটাও কষ্টের কারণ হতে পারে। সরাসরি সূর্যের আলো গাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে, যা গাড়ির ভেতরের তাপমাত্রা অনেক বাড়িয়ে দেয়।

এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে গাড়ির উইন্ডশীল্ড সান শেড। এটি গাড়ির সামনের কাঁচের উপরে লাগিয়ে দিলে সূর্যের তাপ সরাসরি গাড়ির ভেতর প্রবেশ করতে পারে না, ফলে গাড়ির ভেতরটা তুলনামূলকভাবে ঠান্ডা থাকে।

এই ধরনের সান শেড বিভিন্ন আকারের পাওয়া যায় এবং এর দাম সাধারণত ৫০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে।

৩. পোর্টেবল হ্যান্ডহেল্ড ফ্যান: একটি পোর্টেবল হ্যান্ডহেল্ড ফ্যান গরমকালে আপনার সঙ্গী হতে পারে। এটি ছোট আকারের হওয়ায় সহজে বহনযোগ্য এবং যেকোনো সময় ব্যবহার করা যায়।

বাজারে বিভিন্ন ধরণের পোর্টেবল ফ্যান পাওয়া যায়, যেগুলোতে একাধিক স্পিড সেটিংস থাকে এবং একবার চার্জ করলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়।

এই ফ্যানগুলোর দাম সাধারণত ৬০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। বিশেষ করে, বাইরে বের হলে বা বিদ্যুতের অভাব হলে এই ফ্যান খুব কাজে আসে।

৪. টাওয়ার ফ্যান: ঘরের ভেতরের গরম কমাতে টাওয়ার ফ্যান একটি ভালো বিকল্প। এটি ঘরের বাতাসকে দ্রুত ঠান্ডা করে এবং অনেক সময় ধরে শীতল অনুভূতি দেয়।

টাওয়ার ফ্যানের বিভিন্ন মডেল পাওয়া যায়, যেগুলোতে টাইমার এবং রিমোট কন্ট্রোলের মতো সুবিধা থাকে। বাংলাদেশে টাওয়ার ফ্যানের দাম সাধারণত ৩০০০ টাকা থেকে শুরু করে মডেল ও বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভর করে আরো বেশি হতে পারে।

৫. ব্ল্যাকআউট কার্টেন: দিনের বেলায় সূর্যের আলো সরাসরি ঘরে প্রবেশ করলে ঘর গরম হয়ে যায়। এই সমস্যা সমাধানে ব্ল্যাকআউট কার্টেন ব্যবহার করা যেতে পারে।

এটি সূর্যের আলো এবং তাপকে ঘরের বাইরে রাখতে সাহায্য করে, ফলে ঘর ঠান্ডা থাকে। ব্ল্যাকআউট কার্টেন বিভিন্ন রঙ ও আকারে পাওয়া যায় এবং এর দাম ১০০০ টাকা থেকে শুরু করে।

৬. ফেসিয়াল আইস রোলার: গরমকালে ত্বকের জ্বালাপোড়া কমাতে ফেসিয়াল আইস রোলার ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি ত্বকের ফোলাভাব কমাতে এবং ত্বককে শীতল রাখতে সাহায্য করে।

এই ধরনের রোলারগুলো সাধারণত ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়।

উপসংহার: গরমকালে আরাম পেতে আধুনিক গ্যাজেটগুলো খুবই উপযোগী হতে পারে। বাজারে উপলব্ধ বিভিন্ন ধরনের কুলিং গ্যাজেট ব্যবহার করে আপনি গরমের অস্বস্তি থেকে মুক্তি পেতে পারেন এবং একটি আরামদায়ক জীবন যাপন করতে পারেন।

আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী, স্থানীয় বাজার অথবা অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে এইসব গ্যাজেট সংগ্রহ করতে পারেন।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *