LASIK-এর পর তরুণ পুলিশ অফিসারের আত্মহত্যা: শোকস্তব্ধ পরিবার, দায়ী কে?

যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের এক পুলিশ কর্মকর্তার আত্মহত্যার ঘটনা নিয়ে বর্তমানে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ২৬ বছর বয়সী রায়ান কিংয়ার্স্কি নামের ওই পুলিশ সদস্যের পরিবার অভিযোগ করেছেন, তিনি চোখের অস্ত্রোপচার (LASIK) করানোর পর এর জটিলতার শিকার হয়ে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন।

এই ঘটনার পর অস্ত্রোপচারের ঝুঁকি এবং মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক উদ্বেগের বিষয়টি নতুন করে সামনে এসেছে।

জানা গেছে, রায়ান কিংয়ার্স্কি গত জানুয়ারিতে আত্মহত্যা করেন। তার বাবা-মা জানান, গত বছরের আগস্ট মাসে তিনি ল্যাসিক সার্জারি করিয়েছিলেন।

এর কয়েক মাস পরেই তিনি আত্মহননের পথ বেছে নেন। তাদের দাবি, অস্ত্রোপচারের পর থেকেই তিনি তীব্র মাথাব্যথা, আলোতে সংবেদনশীলতা, দৃষ্টিতে ঝাপসা দেখা এবং ডাবল ভিশনের মতো সমস্যায় ভুগছিলেন।

অস্ত্রোপচারের কারণে তিনি কর্মক্ষেত্রেও ফিরতে পারছিলেন না।

রায়ানের বাবা-মা জানান, ছেলের অস্ত্রোপচারের পর তার জীবন সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছিল। ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করেও তিনি কোনো স্বস্তি পাননি।

তারা বিভিন্ন বিশেষজ্ঞের কাছে গিয়েছেন, কিন্তু কোনো সমাধান পাননি। কিংয়ার্স্কির পরিবার জানায়, আত্মহত্যার আগে রায়ান একটি চিরকুট লিখে গিয়েছিলেন, যেখানে তিনি উল্লেখ করেছিলেন যে, ‘ল্যাসিক আমার সবকিছু কেড়ে নিয়েছে।’

ঘটনার পর ল্যাসিক সার্জারিটি যে ক্লিনিকে হয়েছিল, সেই ‘LASIKPlus’ কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা কোনো রোগীর বিষয়ে বিস্তারিত মন্তব্য করতে পারে না।

তবে তারা আরও জানায়, আত্মহত্যার পেছনে একটি কারণ নাও থাকতে পারে। ল্যাসিক সার্জারির সঙ্গে আত্মহত্যার সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই বলেও তারা দাবি করে।

তারা আরও উল্লেখ করে, অস্ত্রোপচারের আগে রোগীদের সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে অবগত করা হয়।

অন্যদিকে, আমেরিকান রিফ্র্যাকটিভ সার্জারি কাউন্সিল জানিয়েছে, ল্যাসিক সার্জারি করা রোগীদের মধ্যে ৯৬ শতাংশই এতে সন্তুষ্ট।

তাদের মতে, এই অস্ত্রোপচারে গুরুতর জটিলতা খুবই বিরল, যা ১ শতাংশেরও কম ক্ষেত্রে দেখা যায়।

এই ঘটনার পর রায়ানের বাবা-মা জানিয়েছেন, তাদের ছেলে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক কোনো সমস্যায় ছিলেন না।

ল্যাসিক সার্জারির পরেই তার মধ্যে পরিবর্তন আসে। তারা জানান, রায়ান ছিলেন খুবই প্রাণবন্ত এবং পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসতেন।

এই ঘটনা ল্যাসিক সার্জারির সম্ভাব্য ঝুঁকি এবং মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কোনো ব্যক্তির মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সমস্যা হলে, দ্রুত সহায়তা নেওয়া অপরিহার্য।

বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তার জন্য বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে।

মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক যেকোনো সমস্যায় সাহায্য চেয়ে, এই সংস্থাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, সরকারিভাবে পরিচালিত মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা হেল্পলাইন-এ (নাম্বার যুক্ত করুন) অথবা আপনার এলাকার কাছাকাছি কোনো মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করা যেতে পারে।

এছাড়াও, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা (যেমন: উদাহরণস্বরূপ কিছু সংস্থার নাম উল্লেখ করা যেতে পারে) মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান করে থাকে।

তথ্য সূত্র: People

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *