country সংগীতের কিংবদন্তী জনি রড্রিগেজের প্রয়াণ, শোকস্তব্ধ সঙ্গীত জগৎ

হিস্পানিক কান্ট্রি সঙ্গীত শিল্পী জনি রড্রিগেজ-এর প্রয়াণ, ৭৩ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ।

কান্ট্রি সঙ্গীত জগতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের পতন। প্রয়াত হলেন কিংবদন্তি শিল্পী জনি রড্রিগেজ। শুক্রবার, ৯ই মে, তাঁর ৭৩ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। রড্রিগেজের কন্যা অউব্রি, সামাজিক মাধ্যমে তাঁর পিতার প্রয়াণের খবর জানান।

জানা গেছে, মৃত্যুর কয়েক দিন আগে তাঁকে একটি চিকিৎসা কেন্দ্রে (হসপিটাল) ভর্তি করা হয়েছিল।

জনি রড্রিগেজ ছিলেন কান্ট্রি সঙ্গীতের একজন অগ্রদূত। তাঁর গান সারা বিশ্বের সঙ্গীত প্রেমীদের মন জয় করেছে। তাঁর সঙ্গীতের মাধুর্য আজও মানুষের হৃদয়ে গেঁথে আছে।

টেক্সাসের সাবিনালে জন্ম নেওয়া এই শিল্পী, অল্প বয়সেই সঙ্গীতের প্রতি আকৃষ্ট হন। শোনা যায়, কৈশোরে কিছুদিনের জন্য কারাগারে বন্দী থাকার সময় তাঁর গান শুনেই এক সঙ্গীত প্রযোজক “হ্যাপি” শাহান তাঁকে গানের জগতে নিয়ে আসেন।

মাত্র ২১ বছর বয়সে, রড্রিগেজ তাঁর সঙ্গীত জীবনকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যান। তিনি বিখ্যাত মারকারি রেকর্ডসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন। এরপর তিনি একের পর এক হিট গান উপহার দিয়েছেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল – “পাস মি বাই (ইফ ইউ’র অনলি পাসিং থ্রু)” এবং “ইউ অলওয়েজ কাম ব্যাক (টু হার্টিং মি)”, “রাইডিন’ মাই থাম্ব টু মেক্সিকো”, “দ্যাটস দ্য ওয়ে লাভ গোস।”

এই গানগুলো তাঁকে এনে দিয়েছে আকাশছোঁয়া খ্যাতি।

১৯৭৩ সালে, কান্ট্রি মিউজিক অ্যাসোসিয়েশন (সিএমএ)-এর সেরা পুরুষ কণ্ঠশিল্পী এবং বছরের সেরা একক গানের জন্য তিনি মনোনীত হয়েছিলেন।

পরের বছর, তাঁর প্রথম অ্যালবাম “ইন্ট্রোডিউসিং জনি রড্রিগেজ”-এর জন্য সিএমএ-এর বর্ষসেরা অ্যালবামের মনোনয়ন পান। সঙ্গীতের প্রতি তাঁর অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ, ২০০৭ সালে তাঁকে টেক্সাস কান্ট্রি মিউজিক হল অফ ফেম-এ অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

জনি রড্রিগেজের প্রয়াণে সঙ্গীত জগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

তিনি তাঁর গান এবং কর্মের মাধ্যমে চিরকাল সঙ্গীত প্রেমীদের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন। তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী ডেবি ম্যাকনিলির গর্ভে জন্ম নেওয়া কন্যা অউব্রি-সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *