১১ বছর ধরে কেক খাওয়ার ছবি: ভালোবাসার বাঁধনে এক পরিবারের গল্প!

প্রতি বছর বিবাহবার্ষিকীতে কেক কাটার ছবি তোলার এক ব্যতিক্রমী রীতি তৈরি করেছেন এক মার্কিন দম্পতি। ১১ বছর ধরে চলা এই ছবি তোলার ধারা এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। সম্প্রতি, টিকটকে ছবিগুলোর একটি সংকলন পোস্ট করার পর তা প্রায় ১০ লক্ষ ভিউ হয়েছে।

অ্যাশলি গার্ডনার ও তাঁর স্বামী ম্যাথিউ গার্ডনারের এই ছবি তোলার শুরুটা হয় ২০১১ সালে। বিয়ের আগে, “দ্য ফাইভ-ইয়ার এনগেজমেন্ট” নামের একটি সিনেমা দেখে অ্যাশলি অনুপ্রাণিত হন। তিনি চেয়েছিলেন, বিয়ের পর তাঁদের সম্পর্কের বিভিন্ন মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দী করতে। ম্যাথিউও এই আইডিয়াটি পছন্দ করেন এবং একটি ভিন্ন প্রস্তাব দেন: প্রতি বছর বিবাহবার্ষিকীতে তাঁরা কেক কাটার ছবি তুলবেন, যেখানে সময়ের সঙ্গে তাঁদের পরিবারের বৃদ্ধিও ফুটে উঠবে।

বর্তমানে তাঁদের চারটি সন্তান রয়েছে। এই ১১ বছরে তোলা ছবিগুলো যেন এক একটি জীবন্ত ইতিহাস। অ্যাশলি জানান, বাচ্চাদের সামলানো কঠিন হলেও, ছবিগুলোতে সেই স্বাভাবিকতাটাই ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন তাঁরা। ছবিগুলো দেখতে তাঁদের সন্তানরাও ভালোবাসে, কারণ এর মাধ্যমে তারা জানতে পারে, কোন বছর তাদের জন্ম হয়েছে।

অ্যাশলি পেশায় একজন ফটোগ্রাফার, আর ম্যাথিউ একজন ফরেনসিক প্রকৌশলী। তাঁদের তোলা ছবিগুলো যখন তাঁরা সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করতেন, বন্ধু ও পরিবারের সদস্যরা বেশ উৎসাহ দেখাতেন। বিশেষ করে, কেকের ছবিগুলোর জন্য তাঁরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতেন। তাঁদের মতে, প্রতিটি ছবি এক একটি গল্প বলে।

এ বছর, অ্যাশলি যখন টিকটকে ছবিগুলোর একটি ভিডিও তৈরি করে পোস্ট করেন, তখন তা দ্রুত ভাইরাল হয়। নেটিজেনরা ছবিগুলোর প্রশংসা করেন এবং তাঁদের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটান। অনেকে মন্তব্য করেছেন, ছবিটি খুবই সুন্দর হয়েছে এবং একটি সুখী পরিবারের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরেছে।

অ্যাশলি জানান, তাঁদের প্রতিটি ছবিই বিশেষ। ছবিগুলোর মাধ্যমে তাঁরা তাঁদের জীবনের আনন্দ ও ভালোবাসার মুহূর্তগুলো ধরে রেখেছেন। ভবিষ্যতে এই ধারা অব্যাহত রাখার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। অ্যাশলি আরও বলেন, পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও এই কাজে যুক্ত করা হয় এবং সবাই মিলে এই মুহূর্তটির জন্য অপেক্ষা করে।

এই দম্পতির ছবিগুলো প্রমাণ করে, একটি সুন্দর ছবি তোলার মাধ্যমে একটি পরিবারের ভালোবাসার গল্প কত সহজে ফুটিয়ে তোলা যায়।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *