দাম্পত্য জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন, বিবাহবার্ষিকী। আর এই বিশেষ দিনটি নিজেদের মতো করে উদযাপন করতে চেয়েছিলেন ক্যালিফোর্নিয়ার এক দম্পতি। কিন্তু তাদের সেই আনন্দে বাধা দিতে চাইলেন তাদেরই এক মেয়ে।
নাতীর দেখাশোনার জন্য বিবাহবার্ষিকীর দিনে তারা সময় দিতে পারবেন না, এমনটাই জানিয়েছিলেন ওই দম্পতি। বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।
জানা যায়, ওই দম্পতির তিন সন্তান রয়েছে। তাদের প্রত্যেকেরই সন্তান রয়েছে, অর্থাৎ নাতি-নাতনী। সাধারণত, তারা সন্তানদের সাহায্য করার জন্য নাতি-নাতনীদের দেখাশোনা করে থাকেন।
এমনকি, তাদের আর্থিক বিষয়গুলোও তারা দেখেন। বর্তমানে, তাদের এক নাতি তাদের সঙ্গেই থাকে, কারণ মেয়ের বাইরে একটি প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ হয়েছে।
আগামী মাসে তাদের বিবাহবার্ষিকী। আর এই বিশেষ দিনটিতে তারা দু’জন একসঙ্গে সময় কাটানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। এরই মধ্যে তাদের আরেক মেয়ে জানায়, তিনি একটি কনসার্টে যোগ দিতে চান, যে কারণে ওই সময়ে তার ১৪ বছর বয়সী ছেলেকে দেখাশোনার জন্য তাদের প্রয়োজন।
মেয়েটি সরাসরি না জানিয়ে, বিষয়টি যেন চাপিয়ে দেয় সেভাবে জানায়। এতে ওই দম্পতি বেশ বিব্রত হন। তারা জানান, ওই সময়ে তাদের বিবাহবার্ষিকীর জন্য একটি বিশেষ ভোজের আয়োজন করা আছে।
তারা চান, এই কয়েকটা দিন অন্তত ছেলে-মেয়ে এবং নাতি-নাতনীদের কোলাহল থেকে দূরে থাকতে। তাদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হলে, মেয়ের উত্তর ছিল, তার ১৪ বছর বয়সী ছেলে নাকি নিজের দেখভাল করতে পারে!
তবে ওই দম্পতি তাদের বক্তব্য থেকে সরেননি। তারা জানান, তাদের বাড়িটি সান দিয়েগোর একটি গ্রামীণ এলাকায় অবস্থিত। সেখানে ওই ছেলেকে একা রাখাটা তারা নিরাপদ মনে করেন না।
এরপর বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে বেশ কথা কাটাকাটি হয়। মেয়েটি জানায়, তার প্রেমিক অনেক দূরে থাকে, তাই মাসে দু’বার তার সঙ্গে দেখা হয়।
তিনি একা মা, তিনটি সন্তানের দেখাশোনা করতে তার অনেক কষ্ট হয়। কিন্তু মা-বাবার এই সিদ্ধান্তে তিনি বেশ বিরক্ত হন এবং তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন।
বিষয়টি নিয়ে ওই দম্পতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের অনুভূতির কথা জানান। সেখানে অনেকেই তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাদের মতে, মেয়ের আগে থেকেই এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিবারে বয়স্কদের প্রতি সম্মান ও দায়িত্ববোধ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একইসঙ্গে, নিজের ভালো থাকার বিষয়টিও দেখা উচিত। এই ঘটনার মাধ্যমে পারিবারিক সম্পর্কের জটিলতা এবং ব্যক্তিগত চাহিদার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার বিষয়টি নতুন করে সামনে এসেছে।
তথ্যসূত্র: পিপল