প্রেমিকার আবদার! বিনামূল্যে থাকার পরও খরচ ভাগাভাগি নিয়ে চরম বিতর্ক!

একটি ছেলের তার প্রেমিকার সাথে একত্র থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে আর্থিক বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। ছেলেটির বর্তমান বাসস্থান তার ঠাকুরমার বাড়ি, যেখানে সে কোনো ভাড়া দেয় না।

অন্যদিকে, তার প্রেমিকা, যিনি বর্তমানে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়ন করছেন, সীমিত আয়ের উপর নির্ভরশীল।

ছেলেটির বক্তব্য অনুযায়ী, তারা যদি একসঙ্গে থাকতে শুরু করে, তবে তাদের যৌথ খরচপত্র সমানভাবে ভাগ করে নেওয়া উচিত। অর্থাৎ, তাদের ৫০/৫০ ভিত্তিতে খরচ ভাগাভাগি করার পরিকল্পনা রয়েছে।

কিন্তু তার প্রেমিকা এই প্রস্তাবে রাজি নন। তিনি চান আয়ের আনুপাতিক হারে খরচ ভাগ করা হোক।

এই পরিস্থিতিতে, ছেলেটির মনে হয়েছে, তার প্রেমিকার এমন প্রস্তাবের কারণ হলো, তিনি আর্থিক দিক থেকে কিছুটা দুর্বল অবস্থায় আছেন। বর্তমানে, তার প্রেমিকার থাকার খরচ তার উপার্জনের থেকে অনেক বেশি।

এমতাবস্থায়, ৫০/৫০ ভিত্তিতে খরচ ভাগ করলে তার জীবনযাত্রার মান কিছুটা উন্নত হবে।

ছেলেটি জানিয়েছে, তার প্রেমিকা বর্তমানে যে বাসায় থাকেন, সেখানকার ভাড়াও অনেক বেশি। এছাড়া, তার অন্যান্য খরচ, যেমন – ইউটিলিটি বিল, খাবার খরচ, চিকিৎসা বীমা, গাড়ির কিস্তি এবং ঋণের বোঝা তো রয়েছেই।

এমন পরিস্থিতিতে, তার প্রেমিকা একটি নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী বাসস্থান খুঁজছেন, যেখানে তিনি তার পোষা কুকুরের সাথে থাকতে পারেন।

ছেলেটির বর্তমান বাসায় তার এক বন্ধু থাকে, যে ভাড়ার পরিবর্তে ইউটিলিটি বিল পরিশোধ করে। প্রেমিকা আসার পর বন্ধুটি অন্যত্র চলে যেতে রাজি আছে।

আর্থিক বিষয় নিয়ে মতবিরোধ হওয়ায়, ছেলেটি বিষয়টি নিয়ে অনলাইনে আলোচনা করার জন্য একটি ওয়েবসাইটে যায়। সেখানে অনেকেই তাদের মতামত জানিয়েছেন।

কেউ কেউ বলেছেন, পরিস্থিতি বিবেচনা করে তাদের খরচ সমানভাবে ভাগ করে নেওয়া উচিত। আবার কারো কারো মতে, আয়ের আনুপাতিক হারে খরচ ভাগ করাটাই যুক্তিযুক্ত।

এই ঘটনার জেরে, ছেলেটি এখন দ্বিধায় পড়েছে যে, তার এই ধরনের প্রস্তাব দেওয়াটা কি ভুল ছিল, নাকি তার প্রেমিকার আনুপাতিক হারে খরচ ভাগ করার দাবি ন্যায়সঙ্গত?

তথ্য সূত্র: অনলাইন ফোরাম আলোচনা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *