বিয়েতে অংশগ্রহণে অপারগ দম্পতি, কারণ শুনলে অবাক হবেন!

বরং বিয়েটা কি আদৌ সম্ভব? গ্রিসে এক পারিবারিক বিয়েতে যোগ দেওয়া নিয়ে এক দম্পতির দ্বিধা!

আগামী গ্রীষ্মে গ্রিসে বিয়ের আয়োজন করেছেন এক ব্যক্তি। আর সেই বিয়েতে বরযাত্রী হিসেবে যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর স্ত্রীর।

কিন্তু এখন বিপত্তি দেখা দিয়েছে অন্য জায়গায়। এই বিয়েতে অংশগ্রহণের খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ওই দম্পতি।

বিষয়টি নিয়ে তারা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘রেডিট’-এর একটি আলোচনা সভায় নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন।

ওই দম্পতির ভাষ্যমতে, বিয়ের বিষয়টি যখন চূড়ান্ত হয়, তখন তারা জানতেন না যে গ্রিসে যেতে কত খরচ হতে পারে। এখন যখন তারা ভ্রমণের খরচ, থাকার জায়গা, নববধূ এবং বরের পোশাকসহ অন্যান্য খরচ হিসাব করতে শুরু করেছেন, তখন তাদের মাথায় হাত।

সব মিলিয়ে তাদের ধারণা, সেখানে এক সপ্তাহ থাকতে প্রায় ৪,০০০ মার্কিন ডলার খরচ হতে পারে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকার সমান।

উল্লেখ্য, ডলারের দাম সবসময় পরিবর্তনশীল।

ওই নারী জানিয়েছেন, তারা সম্প্রতি দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে বাড়ি পরিবর্তন করেছেন। এছাড়াও, তারা এখন একটি পরিবার শুরু করার পরিকল্পনা করছেন।

এমন পরিস্থিতিতে, তারা চান না যে তাদের কষ্টার্জিত সঞ্চয়ের একটা বড় অংশ অন্যের বিয়েতে খরচ হোক। বর্তমানে তারা নিজেদের ছোটখাটো অনেক শখ—যেমন বাইরে খাওয়া, পার্লারে যাওয়া, নতুন পোশাক কেনা ইত্যাদি—বন্ধ করে দিয়েছেন, যাতে কিছু টাকা জমাতে পারেন।

কারণ, তাদের বাড়ির অপ্রত্যাশিত কিছু মেরামতের খরচও হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে ওই নারী প্রশ্ন তুলেছেন, এমতাবস্থায় তাদের গ্রিসে বিয়েতে যাওয়া উচিত হবে কিনা।

তিনি জানিয়েছেন, তারা তাদের ভাইয়ের এই বিয়েতে কোনো সমস্যা তৈরি করতে চান না।

বিয়ের সব অনুষ্ঠানে তারা তাদের সমর্থন জানাতে চান।

তবে আর্থিক সঙ্গতির অভাবে গ্রিসে যেতে না পারলে, তারা কেমন প্রতিক্রিয়া দেখাবেন, তা নিয়ে চিন্তিত।

সাধারণত, গন্তব্য-বিবাহগুলো বেশ ব্যয়বহুল হয়ে থাকে।

সেখানে অনেক বিষয় জড়িত থাকে, যা একজন ব্যক্তির জন্য আর্থিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে।

অনেক সময় এমন পরিস্থিতিতে উপস্থিত হওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।

অনলাইন আলোচনার অনেক সদস্য জানিয়েছেন, ওই দম্পতির এই পরিস্থিতিতে বিয়েতে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।

আলোচনায় আরও জানা যায়, বিয়ের আগে ওই যুগলকে তাদের দেশে একটি আইনি বিয়ে এবং সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও যোগ দিতে হবে।

সেক্ষেত্রে তাদের ওপর আর্থিক চাপ আরও বাড়তে পারে।

অনেকে মনে করেন, এমন পরিস্থিতিতে দম্পতির উচিত হবে তাদের আর্থিক সামর্থ্য বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া।

সবারই পরিবারকে ভালোবাসার এবং তাদের পাশে থাকার একটা মানসিকতা থাকে, কিন্তু আর্থিক সীমাবদ্ধতা অনেক সময় কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করে।

তথ্য সূত্র: পিপলস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *