“কাপলস থেরাপি” – সম্পর্কের জটিলতা আর বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি নিয়ে তৈরি হওয়া একটি জনপ্রিয় ডকুসিরিজ। সম্প্রতি এই অনুষ্ঠানটি নিয়ে দর্শকদের মধ্যে আগ্রহ বেড়েছে, বিশেষ করে এর সত্যতা নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে।
সত্যিই কি এই অনুষ্ঠানে দেখানো সম্পর্কগুলো বাস্তব, নাকি সবকিছু সাজানো? আসুন, এই ডকুসিরিজের ভেতরের গল্পটা জানার চেষ্টা করি।
“কাপলস থেরাপি” মূলত সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে তৈরি হওয়া একটি টেলিভিশন প্রোগ্রাম। যেখানে বিভিন্ন দম্পতি তাদের সম্পর্ককে আরও গভীর করতে মনোবিদের পরামর্শ নেন।
এই অনুষ্ঠানে প্রধান আকর্ষণ হলেন ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট এবং সাইকোঅ্যানালিস্ট ড. অর্না গুরানিক। তিনি দম্পতিদের কাউন্সেলিং করেন এবং তাদের ব্যক্তিগত আলোচনা ক্যামেরাবন্দী করা হয়।
অনুষ্ঠানটি তৈরি করেছেন জশ ক্রিয়েগম্যান, ইলাইস স্টেইনবার্গ এবং এলি ডেসপ্রেস।
অনুষ্ঠানটি প্রথমবার ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে শুরু হয়। এরপর থেকে দর্শক মহলে এটি বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
সম্প্রতি এর চতুর্থ সিজন শেষ হয়েছে এবং আগামীতে আরও একটি সিজন আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
কিন্তু অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে, এই অনুষ্ঠানে যা দেখানো হয়, তা কতটা বাস্তব?
উত্তর হল, কাপলস থেরাপির মূল বিষয়গুলো, অর্থাৎ দম্পতিদের সমস্যা ও তাদের প্রতি মনোবিদের পরামর্শ—এগুলো সবই বাস্তব।
তবে, অনুষ্ঠানের সেটিং বা সেটটি বাস্তব নয়। নিউইয়র্কের একটি সাউন্ড স্টেজে এর দৃশ্যধারণ করা হয়।
ড. অর্না গুরানিক নিজেও একজন অভিজ্ঞ মনোবিদ। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ব্যক্তি এবং দম্পতিদের চিকিৎসা করছেন।
এমনকি, তার ব্যক্তিগত চেম্বারে তিনি প্রতি সেশনে ৭০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত ফি নিয়ে থাকেন।
কাপলস থেরাপি অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য, আগ্রহী দম্পতিদের একটি আবেদনপত্র পূরণ করতে হয়। যেখানে তাদের সম্পর্কের গভীরতা এবং থেরাপির কারণ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে আসা সব দম্পতির সম্পর্ক যে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকে, তেমনটা নয়।
অনেক সময় দেখা যায়, কাউন্সেলিংয়ের পরেও তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে।
এই অনুষ্ঠান সম্পর্কের জটিলতা এবং মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে সহায়তা করে।
বর্তমানে, কাপলস থেরাপি শোটাইম এবং প্যারামাউন্ট+ উইথ শোটাইম-এ দেখা যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানটির জনপ্রিয়তা এতটাই বেড়েছে যে, পঞ্চম সিজনের জন্য এর প্রস্তুতি চলছে।
তথ্যসূত্র: আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম