নাসভিলে’র একটি স্কুলে ঘটে যাওয়া নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। ২০২৩ সালের ২৭শে মার্চ, যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসী অঙ্গরাজ্যের নাসভিলে শহরের একটি প্রাইভেট স্কুল, কোভেন্যান্ট স্কুলে ঘটেছিল এই মর্মান্তিক ঘটনা।
ঐ স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রী ২৮ বছর বয়সী অড্রে হেল, এই বিদ্যালয়ে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে তিনজন নয় বছর বয়সী শিশু এবং তিনজন শিক্ষকসহ মোট ছয়জনকে হত্যা করে। ঘটনার পরেই পুলিশের গুলিতে নিহত হয় হামলাকারী অড্রে হেল।
মেট্রোপলিটন নাসভিল পুলিশ ডিপার্টমেন্টের দীর্ঘ তদন্তে জানা গেছে, এই হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল অনেক আগে থেকেই, এবং অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে তা কার্যকর করা হয়। তদন্তকারীরা অড্রের ব্যবহৃত কয়েক হাজার পৃষ্ঠার নোটবুক, সামাজিক মাধ্যম, যেমন- ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামের বিভিন্ন পোস্ট, ভিডিও এবং অন্যান্য ডিজিটাল ডিভাইস খতিয়ে দেখেন।
এছাড়াও, অড্রের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক চিকিৎসকের পরামর্শ এবং অভিভাবকদের সঙ্গে তার সম্পর্কের বিষয়গুলোও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করা হয়। তদন্তে উঠে আসে, অড্রে তার মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যাগুলো দীর্ঘদিন ধরে গোপন রেখেছিল এবং কীভাবে সে তার বাবা-মা ও থেরাপিস্টদের ভুল বুঝিয়েছিলো।
তদন্তকারীরা জানান, সাধারণত কোনো অপরাধমূলক ঘটনার তদন্তে এত বেশি তথ্য পাওয়া যায় না। অড্রের রেখে যাওয়া বিভিন্ন জিনিসপত্র থেকে তার জীবনের অনেক খুঁটিনাটি বিষয় জানার সুযোগ হয়েছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অড্রে হেল নিজেকে পুরুষ হিসেবে পরিচয় দিতো এবং সে ‘হি/হিম’ (he/him) সর্বনাম ব্যবহার করতো। তবে, টেনেসী অঙ্গরাজ্যের আইন অনুযায়ী, একজন ব্যক্তির লিঙ্গ পরিচয় তার জন্ম সনদে উল্লেখিত লিঙ্গের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে।
এই কারণে, তদন্ত প্রতিবেদনে অড্রে হেলকে নারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত এখনো চলছে এবং বিস্তারিত তথ্য ধীরে ধীরে প্রকাশ করা হবে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন