ক্রংটন: কিশোরদের দুনিয়ায়, যেখানে বড়দের প্রবেশ নিষেধ!

বদলে যাওয়া সমাজের প্রেক্ষাপটে কিশোরদের জীবন: বিবিসি’র নতুন ধারাবাহিক ‘ক্রংটন’।

সমাজের কঠিন বাস্তবতা এবং কৈশোরের সংকটগুলো নিয়ে নির্মিত হয়েছে নতুন একটি ধারাবাহিক নাটক, যার নাম ‘ক্রংটন’। বিবিসির এই নতুন কমেডি-ড্রামা সিরিজটি মূলত কিশোর-কিশোরীদের জীবন এবং তাদের চারপাশের জগৎকে কেন্দ্র করে তৈরি করা হয়েছে।

বিশেষভাবে সুবিধাবঞ্চিত এলাকার তরুণ প্রজন্মের প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তোলাই এই নাটকের মূল লক্ষ্য। সম্প্রতি, লেখক অ্যালেক্স হুইটলের প্রয়াণে নাটকটির নির্মাণ সংশ্লিষ্টদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।

হুইটলের লেখা জনপ্রিয় বইয়ের উপর ভিত্তি করে এই সিরিজের চিত্রনাট্য তৈরি করা হয়েছে।

‘ক্রংটন’-এর গল্পটি সাজানো হয়েছে একটি কাল্পনিক আবাসিক এলাকার প্রেক্ষাপটে।

যেখানে প্রধান চরিত্র লেমার ‘লিকল বিট’ জ্যাকসন। এই কিশোরের জীবন এবং তার চারপাশের জগৎ, বন্ধু-বান্ধব, পরিবারের সদস্যদের গল্প নিয়েই আবর্তিত হয়েছে পুরো সিরিজটি।

গল্পের পরতে পরতে উঠে এসেছে কিশোরদের বেড়ে ওঠার পথে আসা নানা সমস্যা, যেমন— গ্যাং কালচার, বন্ধুদের চাপ, এবং সমাজের কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়া ইত্যাদি।

নাটকটির লেখক আর্চি ম্যাডকস জানিয়েছেন, বইয়ের তুলনায় ধারাবাহিকটিতে গল্পের গভীরতা কিছুটা কম রাখা হয়েছে, তবে এর বিষয়বস্তুগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ডিজিটাল যুগে শিশুদের কাছে পৌঁছানোর জন্য গল্প বলার ধরনটি আকর্ষণীয় করে তোলা হয়েছে।

এর মাধ্যমে শিশুদের বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরা হয়েছে, যা তাদের নিজেদের সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।

‘ক্রংটন’-এর অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশই অভিনয়ে নতুন।

তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা এবং সমাজের প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তোলার ক্ষমতা নাটকটিকে আরও জীবন্ত করে তুলেছে।

এই সিরিজে অভিনয় করেছেন কেলি ব্রায়ান, যিনি মনে করেন, এই ধরনের গল্পগুলো সমাজে পরিবর্তন আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

সিরিজটি যুক্তরাজ্যের একটি বিদ্যালয়ের চিত্র ফুটিয়ে তোলে, যেখানে প্রায় ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী ইংরেজিকে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে ব্যবহার করে।

এই অঞ্চলের শিশুদের জীবনযাত্রা এবং তাদের অভিজ্ঞতাই নাটকের বিষয়বস্তুকে আরও শক্তিশালী করেছে।

কিশোরদের জীবন এবং তাদের চারপাশের জগৎ নিয়ে নির্মিত এই নাটকটি সমাজের চোখে আঙুল দিয়ে অনেক কথা বলতে চায়।

বর্তমানে বিবিসি আই-প্লেয়ারে দেখা যাচ্ছে ‘ক্রংটন’।

তথ্য সূত্র: The Guardian

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *