মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার প্রায়শই তাদের নাগরিকদের বিদেশ ভ্রমণের বিষয়ে সতর্ক করে থাকে, বিশেষ করে ভ্রমণের আগে সম্ভাব্য বিপদ সম্পর্কে অবগত করতে ভ্রমণ নির্দেশিকা প্রকাশ করে। সম্প্রতি, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান সংঘাতের কারণে, যুক্তরাষ্ট্র “বিশ্বব্যাপী সতর্কতা” জারি করেছে।
এর মানে হল, সারা বিশ্বের আমেরিকান নাগরিকদের ভ্রমণের সময় অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, কারণ বিভিন্ন স্থানে মার্কিন স্বার্থের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হতে পারে।
ভ্রমণ নির্দেশিকা মূলত একটি সতর্কবার্তা, যা বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের সময় নাগরিকদের নিরাপত্তা সম্পর্কে ধারণা দেয়। এই নির্দেশিকাগুলি প্রধানত চারটি স্তরে বিভক্ত: প্রথম স্তরে ঝুঁকি সবচেয়ে কম, দ্বিতীয় স্তরে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়, তৃতীয় স্তরে ভ্রমণের বিষয়ে পুনরায় বিবেচনা করতে হয়, এবং চতুর্থ স্তরে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
এই সতর্কতাগুলি অপরাধ, সন্ত্রাসবাদ, রোগব্যাধি, অস্থিতিশীলতা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো বিভিন্ন কারণের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়।
ক্রুজ শিপে ভ্রমণকারীদের জন্য এই সতর্কতাগুলি জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত, ক্রুজগুলি চতুর্থ স্তরের ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোতে যায় না। তবে, দ্বিতীয় বা তৃতীয় স্তরের ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোতে তাদের প্রায়শই যেতে দেখা যায়।
উদাহরণস্বরূপ, মিশর একটি তৃতীয় স্তরের দেশ, তবে নীল নদে ক্রুজগুলি এখনো বেশ জনপ্রিয় এবং আমেরিকান-মিশরীয় দ্বৈত নাগরিকত্ব নেই এমন ভ্রমণকারীদের জন্য ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে কম। অন্যদিকে, বাহামা ও টার্কস ও কাইকোসের মতো কয়েকটি ক্যারিবীয় গন্তব্য দ্বিতীয় স্তরে রয়েছে এবং ক্রুজ জাহাজের বন্দরগুলোতে সহিংস অপরাধের ঝুঁকিও বিদ্যমান।
ভ্রমণের পরিকল্পনা করার আগে, গন্তব্যস্থলের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণ নির্দেশিকা দেখে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। তবে মনে রাখতে হবে, ক্রুজে ভ্রমণকালে আপনি যে স্থানগুলোতে যান, ভ্রমণ নির্দেশিকার স্তর মূলত সেগুলোর ওপর নির্ভর করে না।
ক্রুজ কোম্পানিগুলো সাধারণত যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে তাদের ক্লায়েন্টদের নিয়ে যায় না। একজন ভ্রমণকারী হিসেবে, ভ্রমণের আগে ঝুঁকিগুলো বিবেচনা করে নিজের জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
ভ্রমণ নির্দেশিকাগুলো মূলত সতর্ক করার জন্য, যা কোনো ব্যক্তিকে একটি দেশে ভ্রমণ করা থেকে বিরত করার জন্য নয়, বরং তাদের আরও সচেতন হতে সাহায্য করার জন্য তৈরি করা হয়।
আপনার বিদেশ ভ্রমণের পরিকল্পনা থাকলে, যাত্রা শুরুর আগে অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণ নির্দেশিকা দেখে নিন। আপনার গন্তব্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ট্রাভেল এজেন্ট বা দূতাবাসগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
তথ্য সূত্র: ট্রাভেল এন্ড লেজার