নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনায়, একজন ক্রিপ্টোকারেন্সি বিনিয়োগকারীকে অপহরণ, নির্যাতন এবং মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটককৃত ব্যক্তির নাম জন ওয়েল্টজ (৩৭)।
অভিযোগ উঠেছে, তিনি একজন ইতালীয় নাগরিককে অপহরণ করে কয়েক সপ্তাহ ধরে একটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে বন্দী করে রেখেছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগীকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে এবং তার বিটকয়েন পাসওয়ার্ড হস্তান্তরের জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল।
নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিটি গুরুতর আহত অবস্থায় পালিয়ে আসতে সক্ষম হন এবং পরে পুলিশের সাহায্য চান।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, গত ৬ই মে ওই ইতালীয় নাগরিককে অপহরণ করা হয়। এরপর তাকে ম্যানহাটনের একটি আট কক্ষের অ্যাপার্টমেন্টে বন্দী করে রাখা হয়।
সেখানে তাকে মারধর করা হতো, বৈদ্যুতিক শক দেওয়া হতো এবং তার পরিবারের ক্ষতি করার হুমকি দেওয়া হতো, যদি তিনি তার বিটকয়েন পাসওয়ার্ড হস্তান্তর করতে রাজি না হন।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, অপহরণকারীদের মধ্যে একজন ভুক্তভোগীকে একটি সিঁড়ির কিনারায় ঝুলিয়ে দেন এবং পাসওয়ার্ড না দিলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন।
অবশেষে, ভুক্তভোগী তার ল্যাপটপে থাকা পাসওয়ার্ড দিতে রাজি হন, কিন্তু সুযোগ বুঝে অ্যাপার্টমেন্ট থেকে পালিয়ে যান।
আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার শরীরে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন ছিল, যা নির্যাতনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
এদিকে, ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ওয়েল্টজের অ্যাপার্টমেন্ট থেকে অস্ত্র, মাদক দ্রব্য, এবং নির্যাতনের প্রমাণ হিসেবে ভিকটিমের ছবিসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করেছে।
এর মধ্যে ছিল কোকেন, করাত, লোহার তার, বডি আর্মার, নাইট ভিশন গগলস, এবং ভিকটিমের ছবিতে একটি বন্দুকের ছবি।
আদালতে ওয়েল্টজের বিরুদ্ধে অপহরণ, মারধর, অবৈধভাবে বন্দী করে রাখা এবং আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে।
আদালত তাকে জামিন দেননি এবং পাসপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
ধারণা করা হচ্ছে, তার দেশত্যাগের সম্ভাবনা রয়েছে।
এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ, বিটকয়েনসহ ক্রিপ্টোকারেন্সি বর্তমানে বাংলাদেশে এখনো নিয়ন্ত্রিত নয়।
এই ধরনের বিনিয়োগে ঝুঁকির সম্ভাবনা থাকে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন