দৃষ্টি কাড়ছে! নিখুঁত ঠোঁটের জন্য ‘প্রেমের’ সমীকরণ ব্যবহার করেন এই সার্জন

পুরুষ ও নারীদের সৌন্দর্য সচেতনতা দিন দিন বাড়ছে, এবং এর সাথে বাড়ছে বিভিন্ন ধরনের কসমেটিক সার্জারির চাহিদা। ঠোঁটের আকার সুন্দর করতে এবার নতুন এক পদ্ধতির উদ্ভাবন করেছেন আমেরিকার এক প্লাস্টিক সার্জন।

‘কিউপিড লিফ্ট’ নামের এই পদ্ধতিতে ঠোঁটের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সাহায্য করা হয়।

ক্যালিফোর্নিয়ার বেভারলি হিলসের প্লাস্টিক সার্জন ড. বেন তালেই এই পদ্ধতির উদ্ভাবক। তিনি একটি গাণিতিক সূত্র ব্যবহার করেন, যা ‘কিউপিড ইকুয়েশন’ নামে পরিচিত।

এই সূত্রের মাধ্যমে ঠোঁটের সঠিক আকার দেওয়া সম্ভব হয়। সাধারণত এই পদ্ধতিতে ৩০ থেকে ৬০ মিনিটের মতো সময় লাগে এবং লোকাল অ্যানেস্থেশিয়ার মাধ্যমে এই সার্জারি করা হয়।

এই পদ্ধতির মাধ্যমে ঠোঁটের উপরের অংশে একটি সুষম আকার আনা যায়।

ড. তালেইয়ের মতে, এই পদ্ধতিতে অন্য যেকোনো পদ্ধতির চেয়ে অনেক বেশি সুনিশ্চিত ফল পাওয়া যায়। কিউপিড লিফ্ট-এর মাধ্যমে ঠোঁটের গড়ন আরও আকর্ষণীয় হয়, যা রোগীদের আরও তরুণ দেখাতে সাহায্য করে।

এই পদ্ধতিতে ঠোঁটের মাঝখানের খাঁজ (philtrum) ছোট করা হয়, যা সময়ের সাথে সাথে লম্বা হয়ে যেতে পারে।

এই সার্জারির জন্য প্রাথমিকভাবে ৫,৫০০ মার্কিন ডলার খরচ হয়। তবে, যদি সরাসরি ড. তালেইয়ের কাছে এই কাজটি করাতে চান, তবে খরচ ২০,০০০ থেকে ২৫,০০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত হতে পারে।

অস্ত্রোপচারের পর রোগীকে পাঁচ দিন সেলাই রাখতে হয় এবং কয়েক সপ্তাহ ঠোঁট ফোলা থাকতে পারে। তবে, এই পদ্ধতির ফলাফল স্থায়ী হয়।

ড. তালেই জানান, এই পদ্ধতির জন্য সবার আবেদন গ্রহণ করা হয় না। যাদের ঠোঁটের গড়ন স্বাভাবিক এবং সুন্দর, তাদের ক্ষেত্রে তিনি এই সার্জারি করতে নিরুৎসাহিত করেন।

এছাড়া, দাঁতের গঠন স্বাভাবিক না হলেও এই পদ্ধতি এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

এই ধরনের কসমেটিক সার্জারি বাংলাদেশেও ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা লাভ করছে। তবে, কোনো অস্ত্রোপচার করার আগে অবশ্যই অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *