চেক প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগ নেটওয়ার্কে সাইবার হামলার জন্য চীনকে দায়ী করেছে দেশটির সরকার। বুধবার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০২২ সাল থেকে শুরু হওয়া এই সাইবার হামলার পেছনে বেইজিংয়ের হাত রয়েছে বলে তারা মনে করেন।
চেক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই আক্রমণের মূল লক্ষ্য ছিল দেশের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো। তারা মনে করে, চীনা নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত ‘অ্যাডভান্সড পারসিস্টেন্ট থ্রেট ৩১’ (এপিটি৩১) নামক একটি হ্যাকার দল এই হামলার সঙ্গে জড়িত।
তবে, কী ধরনের তথ্য চুরি হয়েছে এবং কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় চেক প্রজাতন্ত্র নতুন একটি যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী জ্যান লিপাভস্কি এক বিবৃতিতে জানান, চীনের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে তাদের জানানো হয়েছে যে, এই ধরনের কার্যকলাপ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর গুরুতর প্রভাব ফেলবে। চেক সরকার এই সাইবার হামলাকে তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, “এ ধরনের আচরণ চীনের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করে এবং তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতির পরিপন্থী।”
এই ঘটনার পর, ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন চেক প্রজাতন্ত্রের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে এবং এই হামলার নিন্দা করেছে। ন্যাটো এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “আমরা চীনের দিক থেকে আসা ক্রমবর্ধমান সাইবার হামলার ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন।”
ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ কূটনীতিক কায়া কাল্লাস বলেছেন, “এই হামলা আন্তর্জাতিক রীতিনীতির লঙ্ঘন। ইইউ কোনো ধরনের বিদ্বেষপূর্ণ সাইবার হামলা বরদাস্ত করবে না।”
সাইবার নিরাপত্তা এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই ধরনের ঘটনা বিশ্বজুড়ে সাইবার নিরাপত্তা দুর্বলতা নিয়ে উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দেয়।
বাংলাদেশও ডিজিটাল অবকাঠামো শক্তিশালী করার মাধ্যমে এই বিষয়ে আরও বেশি মনোযোগ দিচ্ছে।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস।