অস্ট্রেলিয়ার একটি দ্বীপে ৫২৯ দিন পালিয়ে থাকার পর অবশেষে উদ্ধার করা হলো ভ্যালেরি নামের একটি ড্যাক্সহাউন্ড কুকুরকে। দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার কাঙ্গারু আইল্যান্ডে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা পশুপ্রেমীদের মনে আনন্দের ঢেউ তুলেছে।
স্থানীয় কাঙ্গালা ওয়াইল্ডলাইফ রেসকিউ দল বিশেষভাবে ডিজাইন করা একটি খাঁচা ব্যবহার করে অবশেষে কুকুরটিকে ধরতে সক্ষম হয়।
খাবার এবং পরিচিত কিছু জিনিস দিয়ে ভরা একটি বিশেষ খাঁচা তৈরি করা হয়েছিল, যেন ভ্যালেরি সহজে সেটির ভেতরে প্রবেশ করে। এই খাঁচায় ছিল খেলনা, বিছানা এবং তার মালিকের ব্যবহৃত পোশাক।
এমনকি খাঁচার ভেতরে একটি ওয়েবক্যামও লাগানো ছিল, যার মাধ্যমে উদ্ধারকারী দল দূর থেকে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করতে পারছিল।
জানা যায়, ভ্যালেরির মালিক জর্জিয়া গার্ডনার এবং জশ ফিশলক তাদের প্রিয় কুকুরটিকে ফিরে পেয়ে অত্যন্ত খুশি হয়েছেন।
কাঙ্গালা ওয়াইল্ডলাইফ রেসকিউ দলের সদস্য জ্যারেড জানান, তারা প্রথমে ভ্যালেরিকে খাঁচার কাছাকাছি আসার জন্য পরিচিত জিনিসগুলো খাঁচার ভেতরে রাখতে শুরু করেন। ধীরে ধীরে সেটির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে একসময় সে খাঁচায় প্রবেশ করে এবং খাবার খেতে শুরু করে।
কুকুরটিকে ধরার জন্য দলটির সদস্যরা যথেষ্ট ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করেন। যখন ভ্যালেরি খাঁচার পেছনের কোণে খাবার খাচ্ছিল, তখনই জ্যারেড বোতাম টিপে খাঁচার দরজা বন্ধ করে দেন।
এরপর ভ্যালেরি প্রথমে কিছুটা ছোটাছুটি করলেও পরে শান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।
উদ্ধারকারী দলের কর্মীরা জানান, এত দিন বাইরে থাকার কারণে ভ্যালেরি সম্ভবত “লস্ট ডগ সিনড্রোম”-এর শিকার হয়েছিল। তাই তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে সময় লাগবে।
তারা ভ্যালেরিকে তার মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার আগে ধীরে ধীরে বাইরের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
বর্তমানে ভ্যালেরিকে একটি বিশেষ “এস্কেপ প্রুফ” (পালানো-রোধী) হার্নেস পরানো হয়েছে, যেন সে আর পালিয়ে যেতে না পারে।
সবকিছু ঠিক থাকলে খুব শীঘ্রই ভ্যালেরিকে তার মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান