কান্নার রোল! ৫৪০ দিন পর ফিরে এল ভ্যালেরি, হারানো ড্যাক্সহ্যাউন্ডের গল্প!

হারানো ড্যাক্সহাউন্ড ভ্যালি: ৫৪০ দিন পর মালিকের কাছে ফেরা

অস্ট্রেলিয়ার একটি দ্বীপে ৫৪০ দিন একা survival-এর পর অবশেষে তার মালিকদের কাছে ফিরে এসেছে ভ্যালি নামের একটি ড্যাক্সহাউন্ড কুকুর। আনন্দের অশ্রু আর ভালোবাসায় ভরা এক অসাধারণ পুনর্মিলন ঘটেছে তাদের মধ্যে।

২০২৩ সালের নভেম্বরে, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার ক্যাঙ্গারু আইল্যান্ডে এক ক্যাম্পিং ভ্রমণে গিয়ে হারিয়ে যায় ভ্যালি। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। সবাই ধরে নিয়েছিল হয়তো কোনো সাপ অথবা বিশাল আকারের গোয়ানা (বড় আকারের গিরগিটি)-এর কবলে পরে তার জীবনাবসান হয়েছে।

কিন্তুু, কয়েক মাস পর হঠাৎই শোনা যায় ভ্যালির দেখা পাওয়ার খবর। এরপর Kangala Wildlife Rescue নামক একটি সংস্থা, যারা বন্যপ্রাণী উদ্ধার ও সংরক্ষণের কাজ করে, তারা ভ্যালিকে খুঁজে বের করার জন্য বিশাল এক অভিযান শুরু করে। অবশেষে, গত এপ্রিল মাসের ২৫ তারিখে তারা ভ্যালিকে খুঁজে পায়।

সংস্থাটির পরিচালক জারেড কারান জানান, “ভ্যালি সত্যিই অসাধারণ। তাকে আমরা যেমনটা ভেবেছিলাম, সে আসলে ততটা বড় ছিল না। তার এই বেঁচে থাকাটা একটা অলৌকিক ঘটনার মতো।”

কুকুরটির মালিক জর্জেয়া গার্ডনার জানান, যখন তিনি প্রথমবারের মতো ভ্যালিকে দেখেন, তিনি কান্না ধরে রাখতে পারেননি। তিনি বলেন, “সে লেজ নাড়ছিল, খুশি হয়ে শব্দ করছিল, আনন্দে এদিক ওদিক দৌড়াচ্ছিল। আমি তাকে ধরে অনেক কেঁদেছি।” তার স্বামী জশ ফিশলক বলেন, “আমরা সত্যিই আশা করিনি যে ভ্যালিকে আর ফিরে পাব।”

ক্যাঙ্গারু আইল্যান্ডে প্রায় ৫,০০০ মানুষের বাস। এটি মূল ভূখণ্ড থেকে ফেরি করে প্রায় ৪৫ মিনিটের পথ। পর্যটকদের কাছে এই দ্বীপটি পরিচিত অস্ট্রেলিয়ান বন্যপ্রাণী দেখার জন্য। তবে এখানকার ঘন ঝোপঝাড় আর বন্য পরিবেশে একটি ছোট কুকুরের পক্ষে লুকিয়ে থাকা বেশ কঠিন ছিল। এছাড়াও, দ্বীপটিতে ছিল প্রচুর পরিমাণে ক্যাঙ্গারু, ওয়াল্লাবি (ছোট আকারের ক্যাঙ্গারু) ও ফেরাল বিড়াল, যারা খাবারের জন্য সব সময় সুযোগ খুঁজে ফেরে।

বর্তমানে ভ্যালি নিউ সাউথ ওয়েলসের আলবারিতে তার বাড়িতে ফিরছে। সেখানে সে তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে মিলিত হবে, যাদের মধ্যে রয়েছে একটি উদ্ধার করা বিড়াল লুসি, একটি রেড হিলার কুকুর এবং তাদের নতুন সদস্য ডরথি, যেও একটি ড্যাক্সহাউন্ড।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *