আশির দশকে, যখন মানুষজন তাদের পরিবারের কাছাকাছি থাকতে পছন্দ করত, তেমনই এক গল্প। রিক ফ্লয়েড নামের একজন ভদ্রলোক, যিনি তার কন্যা অ্যাবিগেলের কাছে আসার জন্য অ্যারিজোনা থেকে টেক্সাসে চলে আসেন।
কন্যা, জামাতা এবং নাতি-নাতনীদের সাথে সময় কাটানোই ছিল তার এখনকার জীবনের প্রধান আনন্দ। তবে, বাবার ৭০তম জন্মদিনটা একটু অন্যরকমভাবে উদ্যাপন করার পরিকল্পনা করেন অ্যাবিগেল।
বাবাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য, অ্যাবিগেল তার পরিবারের সবাইকে টেক্সাসে আসার আমন্ত্রণ জানান। কলেজের বন্ধু, পুরনো দিনের বন্ধু থেকে শুরু করে নতুন বন্ধু—যেন এক আনন্দ-মেলা বসেছিল।
সবার একটাই উদ্দেশ্য ছিল—রিকের প্রতি ভালোবাসা জানানো। জন্মদিনের দিন, রিককে তার ছেলে এবং জামাইয়ের সাথে গল্ফ খেলতে পাঠানো হয়।
এরই মধ্যে, অ্যাবিগেলের তত্ত্বাবধানে, টেক্সাসের ম্যানসফিল্ডে তাদের বাড়িতে উৎসবের প্রস্তুতি চলে। যখন রিক খেলা শেষে বাড়ি ফিরলেন, তখন তিনি যা দেখলেন, তা হয়তো তিনি স্বপ্নেও ভাবেননি।
ঘরের ভেতর পা রাখতেই রিক যেন থমকে গেলেন। চারপাশে বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন—যেন এক টুকরো অ্যারিজোনা এসে হাজির হয়েছে টেক্সাসে।
সবার চোখেমুখে হাসি, আর রিকের চোখে বিস্ময়। এই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করেন অ্যাবিগেল, আর সেই ভিডিওটি তিনি আপলোড করেন টিকটকে।
ভিডিওটি দ্রুতই ভাইরাল হয়ে যায়। নেটিজেনরা রিকের বয়স নিয়ে যেমন মন্তব্য করেছেন, তেমনই অনেকে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছেন।
কেউ কেউ তাদের বাবার কথা স্মরণ করে মন্তব্য করেছেন, আবার অনেকে রিকের দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন।
অ্যাবিগেল জানান, তার বাবা সাধারণত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম খুব একটা ব্যবহার করেন না। তবে, ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর, তিনি যখন তার বাবার কাছে টিকটকের কথা বলেন এবং ভিডিওটি দেখান, তখন তিনিও হেসেছিলেন।
রিক বলেন, “কেন মানুষ একজন বৃদ্ধ মানুষের ভিডিও দেখতে এত আগ্রহী?” অ্যাবিগেলের মতে, তার বাবার মতো এমন পরিবার-অন্তপ্রাণ মানুষ খুব কমই দেখা যায়।
তিনি বলেন, “আমার বাবার মতো করে যদি সবাই ভালোবাসতে পারত, তবে পৃথিবীটা আরও সুন্দর হতো।” তথ্য সূত্র: পিপল