যুক্তরাষ্ট্রে এক পরিবারের তাদের প্রিয় পোষ্য কুকুরের প্রতি ভালোবাসার এক হৃদয়স্পর্শী চিত্র সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
১৭ বছর বয়সী একটি কুকুর, যার নাম চ্যান্ডলার, বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিল।
ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা ক্রুজে বসবাসকারী ইকিন পরিবারের সঙ্গে চ্যান্ডলারের ছিল গভীর সম্পর্ক। বিশেষ করে, কেইটি ইকিনের বাবা গ্যারির সঙ্গে তার ছিল নিবিড় সখ্যতা।
কুকুরটির অসুস্থতা বাড়ার সাথে সাথে পরিবারটি এক কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়।
পশুচিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী, তারা চ্যান্ডলারকে কষ্ট থেকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
বিদায়ের কয়েক দিন আগে, কেইটি তার বাবার সঙ্গে চ্যান্ডলারের কাটানো বিশেষ মুহূর্তগুলো ক্যামেরাবন্দী করেন।
সেই ভিডিওটি তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটকে আপলোড করেন।
ভিডিওটি দ্রুতই ভাইরাল হয়ে যায়। কয়েক দিনের মধ্যে এটি লক্ষ লক্ষ মানুষ দেখে এবং হাজার হাজার মন্তব্য আসে।
নেটিজেনরা তাদের পোষ্য হারানোর শোকের কথা জানান এবং পরিবারের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেন।
কেইটি জানান, এই ভিডিওটি তৈরি করার মূল উদ্দেশ্য ছিল তার বাবাকে প্রিয় বন্ধু হারানোর শোক কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করা।
অপ্রত্যাশিতভাবে, ভিডিওটি অনেকের মনে গভীর দাগ কাটে।
কেইটি বলেন, “বাবা এবং চ্যান্ডলারের মধ্যেকার সম্পর্ক ছিল অসাধারণ। শেষ দিনগুলোতে বাবা সবসময় চ্যান্ডলারের পাশে ছিলেন, তাকে আগলে রাখতেন।”
তিনি আরও জানান, “ভিডিওটি যখন ভাইরাল হয়, তখন আমরা অভিভূত হয়ে গিয়েছিলাম।
সবার মন্তব্যগুলো আমাদের অনেক সাহস জুগিয়েছিল।
অনেকেই তাদের পোষ্য হারানোর গল্প বলেছেন, যা আমাদের একাকীত্ব দূর করতে সাহায্য করেছে।”
৬ই মে, পরিবারের সবাই শেষবারের মতো চ্যান্ডলারের সঙ্গে মিলিত হয়।
বিদায়ের সেই দিনে, চ্যান্ডলার যেন শান্তিতে ছিল, এমনটাই মনে করেন কেইটি।
তিনি বলেন, “কুকুরটি যেন আমাদের বলতে চেয়েছিল, সে প্রস্তুত।”
এই ঘটনার মাধ্যমে, পোষ্য এবং মানুষের মধ্যেকার ভালোবাসার গভীরতা আবারও প্রমাণিত হয়।
একইসঙ্গে, প্রিয়জন হারানোর শোককে কিভাবে মোকাবেলা করতে হয়, সেই বিষয়েও একটি ধারণা পাওয়া যায়।
তথ্য সূত্র: পিপল