ডালাস কাউবয়স চিয়ারলিডার্স-এর বেতন বৃদ্ধি: কর্মীদের লড়াইয়ের জয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় আমেরিকান ফুটবল দল, ডালাস কাউবয়স-এর চিয়ারলিডার্স দল, তাদের ন্যায্য পারিশ্রমিকের দাবিতে এক গুরুত্বপূর্ণ জয়লাভ করেছে। সম্প্রতি নেটফ্লিক্সে প্রচারিত একটি তথ্যচিত্রের মাধ্যমে তাদের এই লড়াই প্রকাশ্যে আসে, যেখানে কর্মীদের বেতন ৪00 শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই খবরটি এখন বিশ্বজুড়ে আলোচনার বিষয়।
ঐতিহ্যপূর্ণ এই দলের চিয়ারলিডার্স-রা তাদের কাজের জন্য উপযুক্ত পারিশ্রমিকের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে আসছিলেন। জানা যায়, আগে তারা প্রতি ঘণ্টা হিসেবে ১৫ থেকে ২০ মার্কিন ডলার অথবা প্রতি ম্যাচে ৫০০ ডলার পেতেন, যা তাদের বার্ষিক আয়ের হিসাবে প্রায় ৭৫,০০০ ডলারে দাঁড়াত।
যদিও, অন্যান্য এনএফএল (NFL) চিয়ারলিডার্স-দের গড় বার্ষিক বেতন ছিল ২২,৫০০ ডলার, যেখানে তারা প্রতি ম্যাচের জন্য প্রায় ১৫০ ডলার করে উপার্জন করতেন।
তথ্যচিত্রটিতে এই কর্মীদের বেতন বৈষম্যের বিষয়টি তুলে ধরা হয়, যা দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে। এর ফলস্বরূপ, ডালাস কাউবয়স কর্তৃপক্ষ তাদের কর্মীদের বেতন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করতে রাজি হয়। এখন থেকে তারা আগের চেয়ে অনেক বেশি বেতন পাবেন।
এই প্রসঙ্গে, দলের সদস্য জাদা ম্যাকলিন এক সাক্ষাৎকারে জানান, কর্মীদের এই জয় তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আরও আশাবাদী করে তুলেছে। তিনি বলেন, “আমরা মনে করি, আমাদের এই লড়াইয়ের গল্পটি খুব ভালোভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আমরা সবাই আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খুবই উৎসাহিত।”
ডালাস কাউবয়স-এর পরিচালক কেলি ফিঙ্গ্লাস এবং প্রধান কোরিওগ্রাফার জুডি ট্রামেলও কর্মীদের এই সাফল্যে আনন্দিত। ট্রামেল বলেন, “আমরা আমাদের কর্মীদের এই পরিবর্তনে খুশি এবং একটি সুখী দল সবসময় ভালো কাজ করে। আমি তাদের মূল্য এবং তাদের অধিকারের জন্য গর্বিত।”
শুধু বেতন বৃদ্ধিই নয়, কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও দলটির বিশেষ নজর রয়েছে। ম্যাকলিন জানিয়েছেন, “সংস্থাটি আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সহায়তা প্রদান করে। এছাড়াও, আমরা সবাই দলের সদস্য হিসেবে একে অপরের খুব কাছাকাছি থাকি এবং সবসময় একে অপরের পাশে দাঁড়াই।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আমাদের ড্রেসিংরুমে এই বিষয়ে আলোচনা সবসময় খোলামেলাভাবে হয়।”
এই ঘটনার মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে ন্যায্য অধিকার এবং উপযুক্ত পারিশ্রমিকের গুরুত্ব আরও একবার প্রমাণিত হলো। কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে কিভাবে নিজেদের অধিকার আদায় করা যায়, এটি তারই একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
তথ্য সূত্র: People