ইতালির এক স্বপ্নিল শহরে, ‘আন্ডার দ্য টাসকান সান’ ছবির স্মৃতি বুকে নিয়ে, মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে ফিরে গেলেন অভিনেতা ড্যান বুক্যাটিনস্কি। দুই দশক আগে, এই ছবিটির শুটিংয়ের সময়ই তার মনে হয়েছিল বাবা হওয়ার স্বপ্ন। আর সেই স্বপ্ন পূরণ হওয়ার পর, মেয়ের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো করতে, তাকে নিয়ে আবার ইতালিতে ফেরা যেন এক নতুন যাত্রা।
২০ বছর বয়সী এলিজার সঙ্গে এই সফর ছিল বুক্যাটিনস্কির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অতিমারীর সময়ে উদ্বেগে জর্জরিত হয়ে পড়েছিল এলিজা। নিজের ভালো লাগা থেকে দূরে চলে গিয়েছিল সে। বাবার চোখে, মেয়ের এই কঠিন সময়ে প্রয়োজন ছিল একটু ‘অন্য রকম’ হাওয়ার। তাই, ইতালির পুরোনো স্মৃতি আর নতুন দিগন্তের সন্ধানে তাদের এই যাত্রা।
২০০২ সালে, ‘আন্ডার দ্য টাসকান সান’-এর শুটিংয়ের সময়, ইতালির প্রকৃতির রূপে মুগ্ধ হয়েছিলেন বুক্যাটিনস্কি। অভিনেত্রী অড্রে ওয়েলসের সঙ্গে কাটানো সময়, তাকে আরও গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল। অড্রে’র কথায় অনুপ্রাণিত হয়েই তিনি বাবা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সেই সময়ে, ইতালির সুন্দর পরিবেশে, ছবির অন্য কলাকুশলীদের সঙ্গে তৈরি হওয়া বন্ধুত্বের সম্পর্কও তার জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল।
বুক্যাটিনস্কি জানান, ইতালির জীবনযাত্রা, সেখানকার খাবার, বিশেষ করে হাতে তৈরি পাস্তা তৈরির অভিজ্ঞতা এলিজার মনকে নতুন করে জাগিয়ে তুলেছিল। পিৎজা বানানোর ক্লাসে দু’জনের একসঙ্গে অংশগ্রহণ, যেন তাদের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করেছে। মেয়ের চোখেমুখে আনন্দের ঝলক দেখে, বুক্যাটিনস্কি যেন নতুন করে বাঁচার স্বাদ খুঁজে পান।
এই সফরের আরেকটি আকর্ষণ ছিল, ‘এমিলি ইন প্যারিস’ এর শুটিংয়ের জন্য এলিজার বাবার (বুক্যাটিনস্কির স্বামী) সেখানে যাওয়া। বাবার সঙ্গে মেয়ের কাটানো এই সুন্দর সময়, যেন তাদের সম্পর্কের গভীরতা আরও বাড়িয়ে দেয়।
বুক্যাটিনস্কি মনে করেন, ‘আন্ডার দ্য টাসকান সান’-এর গল্প, এক নারীর আত্ম-অনুসন্ধানের মতোই, এলিজার এই যাত্রা তাকে নতুন করে পথ দেখাবে। অতীতের দুঃখ ভুলে, নতুন করে জীবন শুরু করার অনুপ্রেরণা জোগাবে।
ইতালির স্মৃতি বিজড়িত স্থানগুলোতে এলিজাকে নিয়ে ঘোরাঘুরি করা, সেখানকার স্থানীয় খাবার উপভোগ করা, যেন তাদের সম্পর্কের ভিত আরও মজবুত করেছে। বাবার হাত ধরে, এলিজা ধীরে ধীরে তার উদ্বেগের জগৎ থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে। তাদের এই যাত্রা, শুধু একটি ভ্রমণ নয়, বরং এক নতুন দিগন্তের সূচনা।
তথ্য সূত্র: পিপল